রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • দুর্গাপুরে নদীর গর্ভে বিলীন হতে যাচ্ছে স্কুলসহ শতবর্ষী মিশন

দুর্গাপুরে নদীর গর্ভে বিলীন হতে যাচ্ছে স্কুলসহ শতবর্ষী মিশন

দুর্গাপুরে নদীর গর্ভে বিলীন হতে যাচ্ছে স্কুলসহ শতবর্ষী মিশন

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা), ১৬ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আদিবাসী অধ্যুষীত এলাকায় শতবর্ষি সাধু যোসেফ ক্যাথলিক ধর্মপল্লী ও রানীখং উচ্চ বিদ্যালয় ও রানীখং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি খরস্রোতা সৌমেশ্বরী নদীর গর্ভে বিলীন হতে চলছে। এ নিয়ে আজ শুক্রবার সরজমীনে গিয়ে দেখাগেছে, উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নে সৌমেশ্বরী নদীর পুর্ব তীর ঘেষে রানীখং উচু টিলার উপর দাড়িয়ে আছে প্রায় ১’ শত দশ বছরের পুরাতন ক্যাথলিক গীর্জ। সাথে রয়েছে ইউনিয়নের একমাত্র উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানের সীমানার দেয়াল ঘেষে অনেকাংশই নদী ভাঙ্গনের কবলে পরেছে।

কালের আবর্তে সৌমেশ্বরী নদীর গতি পথের পরিবর্তন ও পাহাড়ী ঢলের তীর্বতার কারনে ভাঙ্গন অব্যহত থাকায়, সীমানা দেয়ালের কাছেই চলে এসেছে নদী। ভাঙ্গন প্রতিরোধ ত্বরিৎ ব্যাবস্থা না নিলে সভ্যতার বুক থেকে হারিয়ে যাবে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। গীর্জার ইতিহাস থেকে জানাগেছে, ১৯০৯ সালে বিশপ হার্থ ঢাকা ধর্ম প্রদেশের প্রথম ধর্মপাল সুসং দুর্গাপুরে টাকশাল পারা গ্রামের ৫জনের একটি গারো প্রতিনিধি দল উজির রুরাম, জিরিং হাজং, থুদিং হাজং, থিমান দাংগো ও সিন্ধু রুগা আদিবাসী মন্ডলি হার্থের সঙ্গে দেখা করে তাদের এলাকায় মিশনারী প্রেরনের অনুরোধ জানায়।

বিশপ হার্থের তখন জনবল বা অর্থ বল কিছুই ছিল না। ফলে বিশপ এই প্রতিনিধি দল কে শুধু আশ্বার বানী ও কিছু ধর্ম গ্রন্থ দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিলেন। পরে এই দলটি পর পর তিন বার একই উদ্দেশ্যে অনুরোধ জানালে ১৯১০ সালে বিশপ হার্থ ঢাকা ত্যাগের পুর্বে একটি বিশেষ সুপারিশ এবং গারো এলাকায় মিশনারী স্থাপনের জন্য কিছু আর্থিক সাহায্য রেখে যান। পরবর্তীতে বিশপ লিনেবর্ণ দায়িত্ব নিয়ে ফাদার ফেবরীকে সুসং দুর্গাপুরে পাঠান ধর্ম প্রচার কাজে সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখার জন্য।

ফাদার ফেবরী গারো অঞ্চলে এসে প্রচার কাজের অনুকুলে একটি প্রতিবেদন দাখিল করার ফলে ১৯১১ সালে ১৯মার্চ এক দল গারো নারী পুরুষ দলকে সম্মতি জানিয়ে তাদের মাধ্যমে তিনি সর্ব প্রথম ধর্ম প্রচার শুরু করেন। এই দলটিই পৃথিবীর প্রথম ক্যাথলিক ধর্ম মতে ধর্মান্তরীত গারো। ভাঙ্গন বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শুভ্র আরেং এ প্রতিনিধিকে বলেন, এলাকার লোকজন ও ছাত্র ছাত্রীরা কিছু বালির বস্তা ফেলে মিশন টি টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা চালিয়েও রোধ করা যাচ্ছে না এ যেন দেখার কেউ নেই। মিশনটির বর্তমান ফাদার প্রিনসন বলেন, সৌমেশ্বরী নদীর গতি ধারা পরিবর্তন হওয়ায় অচিরেই হারিয়ে যেতে বসেছে আমাদের আদি স্থাপনা। আগত বর্ষা মৌসুমের পুর্বেই সরকারের উর্দ্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

এবিএন/তোবারক হোসেন খোকন/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত