বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • দশমিনায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জনসাধারণের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

দশমিনায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জনসাধারণের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

দশমিনায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জনসাধারণের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

পটুয়াখালী, ১৬ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মিথ্যা জাল চুরি অপবাদে এক জেলেকে পিটালেন রনগোপালদী ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান নাসির সিককদার ও তার পেটোয়া বাহিনী।

ঘটনা ও ভিকটিম পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ইং রাতে পূর্ব আউলিয়াপর গ্রামের নাসির সরদারের সেলে রাসেল সরদার গভির রাতে নদীতে মাছ ধরতে গেলে, ইউপি চেয়ারম্যান পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে, জাল চুরির অপবাদ দিয়ে তার বাড়িতে ধরে এনে, দরি দিয়ে পেছনে হাত বেধে শত মানুষের মধ্যে কাচা গাছের ডাল দিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে নাসির সিকদার ও পেটোয়া বাহিনী।

এক পর্যায় নির্মম অত্যাচারের হতভাগা জেলে একটু পানি চেয়ে থাকলে, পানির বদলে গরম পানি খেতে দেয়, সাহায্যের জন্য এগিয়ে গেলে নির্মম বর্বরতার হাত থেকে রক্ষা পায়নি নির্যাতিত রাসেলের তিন বছরের অবুঝ শিশু ও তার গৃহবধূ।

স্থানীয় জনসাধারণের কাছ থেকে আরো জানা যায়, নিষ্ঠুর ও অত্যাচারী রনোগোপালদী ইউনিয়নের নব- নির্বাচিত চেয়ারম্যান এ. টি. এম আসাদুল হক নাসির নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে অসাহায় ও সংক্ষালুগো পরিবারের উপর, তার পেটোয়া বাহিনীর সদস্য ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার রুবেল, জাহাঙ্গীর চৌকিদারকে দিয়ে নিপীড়ন নির্যাতন করে আসছে প্রতিনিয়ত।

এবিষয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে আরো জানা যায়, কি কারনে, গরিব অসহায় ও সংক্ষালুগো পরিবার সহ নদী ভাংগনী জেলেদের উপর নিপীড়ন ও অত্যাচার করছে তা আমাদের জানা নাই। তার অত্যাচার এমন ভয়ংকর হয়ে উঠছে যে, সংখ্যালুঘ সনাতন ধর্মালম্বী পরিবারসহ সাধারন মানুষ এখন আতংকের উপর দিন কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নদীর পারের বানবাসী জেলে ও জনসাধারণ।

তাই অত্যাচারী ও জুলমবাজ চেয়ারম্যান নাসির সিকাদের বিচার ও অপসারণের দাবীতে আজ শুক্রবার বেলা সারে এগারোটা সময় প্রায় ৩ শতাধিক জনসাধারণ মাননবন্ধন করেন। বর্তমানে নির্যাতিত হত দরিদ্র জেলে দশমিনা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে ডাক্তার রোকুনুউজ্জামেনর চিকিৎসাধীন আছে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান নাসির সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন কৌশলে অবলম্বন করে, কথার এক ফাকে অজান্তেই জেলেকে মারধরের কথা স্বীকার করে যা সংবাদ কর্মীর ক্যামেরা বন্দী আছে, এক পর্যায় নির্যাতিত চেয়ারম্যান সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান।

এব্যাপারে দশমিনা থানার ওসি রতন কৃঞ্চ রায় চৌধুরী এর কাছে জানতে আচাইলে, ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম, তবে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রতিবেদককে জানান। রনোগোপালদী ইউনিয়ন বাসি অত্যাচারী ও জুলুমবাজ চেয়ারম্যানের হাত থেকে মুক্তি পাবে এটাই সরকারের কাছে জনসাধারণের প্রত্যাশা।

এবিএন/জুয়েল/জসিম/রাজ্জাক

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত