বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • টাঙ্গাইলে অধিগ্রহনকৃত জমির টাকা আদায়ে আন্দোলনে মালিকরা

টাঙ্গাইলে অধিগ্রহনকৃত জমির টাকা আদায়ে আন্দোলনে মালিকরা

টাঙ্গাইলে অধিগ্রহনকৃত জমির টাকা আদায়ে আন্দোলনে মালিকরা

টাঙ্গাইল, ১৬ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : নিউ ধলেশ্বরী নদী থেকে বুড়িগঙ্গা নদী খনন প্রকল্প কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির মুখে কালিহাতীতে জমি অধিগ্রহনের টাকা না দিয়ে খনন কাজ শুরু করায় আন্দোলন করছে ক্ষীপ্ত এলাকাবাসী।

এ দুর্নীতির অভিযোগে আজ শুক্রবার সকালে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কালিহাতী উপজেলার যমুনা নদী থেকে নিউ ধলেশ্বরী নদী খনন প্রকল্পের মুখ পথে শত শত মানুষ লাঠি হাতে এ আন্দোলনে নেমেছে জমির মালিকরা। যমুনা নদীর পারে এ আন্দোলনে এলাকার শিশু থেকে সকল বয়সীরা অংশ নেন।

সরেজমিনে জানা যায়, কালিহাতী উপজেলা আলীপুর, বৈরববাড়ি, বিরোধ লহিরা, রেড়ামারা, শ্যামশৈল, বেলটিয়াসহ আরো কয়েকটি গ্রামের জমি পড়েছে এই প্রকল্পে। ইতিপূর্বে জমি অধিগ্রহনের সীমানা নির্ধারধ করে লাল নিশান লাগানো হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) গত ৭ ফেব্রুয়ারি জমির মালিকদের অধিগ্রহনের টাকা দেয়ার জন্য নোটিশ দিয়ে আসেন। তারপরও কয়েকদিন যাবৎ বালু উত্তোলনের জন্য পায়তারা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন। টাঙ্গাইলে অধিগ্রহনকৃত জমির টাকা আদায়ে আন্দোলনে মালিকরা

অনিয়ম দেখে এলাকাবাসী ক্ষীপ্ত হয়ে বালু উত্তোলনে বাধা দেয় এবং মাঝে মধ্যে খোজ নিচ্ছে যাতে বালু উত্তোলন না করতে পারে। ক্ষীপ্ত এলাকাবাসী প্রায়ই লাঠি নিয়ে হাজির হয় জমির উপর। এতে যেকোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী ঘটনা।

বেলটিয়া গ্রামের জমির মালিক আব্দুল জব্বার বলেন, যমুনা থেকে নিউ ধলেশ্বরী হয়ে বুড়ি নদীতে পানি প্রবাহের জন্য যে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে তাতে আমাদের দেশের জন্য ভাল কাজ। সরকার বলেছে এ প্রকল্পে যাদের জমি পরবে তাদের জমি টাকার বিনিময়ে অধিগ্রহন করা হবে। কিন্তু সরকার বললেও সরকারি প্রজাতন্ত্রের লোকজন আমাদের টাকা দিয়ে অধিগ্রহন করে নিয়েছে। সরকারি লোকজন একেক সময় একেক কথা বলে। ২০১৭ সালে টাকা দেয়ার কথা বললেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এমনকি টাকা দিয়ে প্রশাসক দিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে। তাই আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।

বিরোধ লহিরা গ্রামের রহমাতুল্লাহ বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমার জমি অধিগ্রহন করা মর্মে ২০১৭ নোটিশ পেয়েছি। কিন্তু একবছর অতিবাহিত হওয়ার পরও আমাদের গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। যার কারনে সকলে মিলে আন্দোলনে করতে হচ্ছে। এমনিতেই আমাদের এলাকা বন্যার ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আমাদের এই জমি যদি অধিগ্রহন করে তাতে আমাদের দুঃখ নেই। কিন্তু আমাদের এসব এলাকার মৌজার দরিদ্র মানুষদের জমির ন্যায্য মুল্য পরিশোধ করে জমি অধিগ্রহন শুরু করুক। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি এর দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করে জনগনের টাকা দিয়ে দেন। অধিগ্রহনের এসব টাকা না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের এ জনআন্দোলন চলবে।

এবিএন/তারেক আহমেদ/জসিম/রাজ্জাক

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত