![আক্কেলপুর উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর বেহালদশা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/17/clinic_abnews_126274.jpg)
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট), ১৭ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নানান সমস্যায় জর্জরিত। ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসক, ঔষুধ সংকটসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের দুলালী গ্রামে নানান সমস্যা নিয়ে চলছে দুলালী কমিউনিটি ক্লিনিক। চিকিৎসক, ওষুধ সংকটসহ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয় সুযোগের অভাব রয়েছে। সে সাথে ওই ক্লিনিকের টিউবয়েল ও টয়লেট নষ্ট হয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এ অবস্থা শুধু এই ক্লিনিকেই নয় বরং উপজেলার ২১টি ক্লিনিকেই কমবেশী রয়েছে নানান সমস্যা।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে এগারোটায় ওই ক্লিনিকে গিয়ে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) সাবরীন সুলতানাকেই শুধু পাওয়া গেল। সেখানে কোন রোগী নেই। সাবরীনা সুলতানা ক্লিনিকের দরজায় তালা লাগিয়ে বাইরের একটি ওষুধের দোকানে বসে রয়েছেন। তিনি সাংবাদিক উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে এস জানালেন কোন রোগী নেই তাই আমি তালা দিয়ে বাইরে বসে আছি। শরীর একটু খারাপ হওয়ায় বাড়ি যেতে চাচ্ছিলাম।
ওই ক্লিনিকে কোন ডাক্তার নেই। নেই কোন বাইরে ও ঘরে বসার চেয়ার।ক্লিনিকে একটি পুরুষ ও মহিলাদের জন্য একটি টয়লেট দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে। একটি মাত্র টিউবয়েল থাকলেও সেটিও অকেজো। ফলে ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা রোগীদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।
গোপীনারপুর ইউনিয়নের দুলালী, হড়িপুর, চাপাগাছী, হড়িশাড়া, রত্মাহার, দিয়লসহ আশপাশের গ্রামের প্রায় প্রতিদিন প্রায় একশ’রও বেশী রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন ওই ক্লিনিকে।
এছাড়াও ক্লিনিকে কোন নৈশ প্রহরী, ঝাড়ুদার না থাকায় অরক্ষিত এবং অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় কমিউনিটি ক্লিনিকটি চলছে। এমনকি বিদ্যুৎ বিলও তাদের নিজেদের পকেট থেকে দিতে হয়। অথচ এসব দেখার কেউ নেই।
ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএইচসিপি সাবরীনা সুলতানা জানান, বি.এস.এস পাশ করে তিনি এই কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকুরীতে ঢুকেছেন। উপজেলা হাসপাতালের টি.এইচ.এষ্ফর তত্ত্বাবধানে তিনমাসের কম্পিউটার,ওষুধের উপর থিওরী ও প্রাকটিক্যাল ট্রের্নিং নেয়ার পর ২০১১ থেকে ২০১৪ মেয়াদের এই প্রকল্পে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকুরীতে রয়েছেন।
এরপর তিন বছর অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত তাদের চাকুরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হয়নি। ফলে তাদের এই চাকুরীর এখন কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমনকি মাসিক বেতনও নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে এই চাকুরীতে কর্মরত যুবকরা চরম হতাশায় দিনাতিপাত করছে এবং কর্মের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোস্তফা হোসেন বলেন, উপজেলার সবগুলো কমিউনিটি ক্লিনিকের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানোর পরেও কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি।
এবিএন/আতিউর রাব্বী তিয়াস/জসিম/এমসি