শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

গলাচিপায় মৎস অফিসে নিরব চাঁদাবাজির অভিযোগ

গলাচিপায় মৎস অফিসে নিরব চাঁদাবাজির অভিযোগ

পটুয়াখালী, ১৮ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : পটুয়াখালী গলাচিপা সিনিয়র মৎস অফিসের নিরব চাঁদাবাজির চাপাকলে অসহায় শতাধিক জেলে পরিবার। রুপালি ইলিশ রক্ষায় চলতি মৌসুমে ঝাটকা নিদন বন্ধে পটুয়াখালী গোটা মৎস বিভাগসহ RAB- পুলিশের ব্যাপক অভিযানে সামইক থেমে গেলেও বর্তমানে সক্রিয়। ঝাটকা নিদন বন্ধে মৎস বিভাগের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব। লোকবলের অপ্রতুলতা রয়েছে এটা যেমন সত্য পাশাপাশি মৎস বিভাগকে সাহায্য করতে রয়েছে, কোষ্টগার্ড, RAB, পুলিশ। এরপরেও দেখাযায় মৎস বিভাগের কানামাছি খেলা। কেনো তারা এই কানাকানি করছেন।

এ সকল বিষয় নিয়ে সার্বিকভাবে পর্যালোচনা করে সরেজমিন প্রতিবেদনে প্রান্তিক জেলে, স্থানীয় সূত্র ও জেলে পরিবার থেকে নেয়া গোপন ভিডিও ফুটেজে বেরিয়ে আসে ভয়ংকর সব অজানা তথ্য। গলাচিপা উপজেলার হরিদেবপুর, পানপট্রি, বন্যাতলি, চরকাজল, চরশিবা,উলানিয়া বন্ধর, এসকল নদী ও তীরবর্তী স্থান গুলো মৎস আহরন ও মৎস আড়ৎদের প্রান কেন্দ্রবিন্দু। প্রান্তিক জেলে ও সাবার মালিকরা এসকল আড়ৎ থেকে নগদ অর্থের বনিময় তাদের সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। মোটাদাগে এক কথায় বলতে গেলে আড়ৎ ব্যবসায়ীগন প্রান্তিক জেলে ও সবার ব্যবসায়ীদের ছত্রপতি। বর্তমানে আড়ৎ ব্যবসায়ীদের ছত্রপতির ভূমিকায় পটুয়াখালী মৎস অফিসগুলো।

এরই ধারাবাহিকতায় গলাচিপা উপজেলার সিনিয়র মৎস অফিসে চলছে ঘুশ বানিজ্যর মহাউৎসব। গলাচিপা উপজেলার মৎস অফিসে জনবল সংক্ষা সর্বমোট ৫ জন। যার মধ্যে সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা, এ এফ ও, ক্ষেত্র সহকারী, অফিস সহকারী ও অফিস সহায়ক এমন। তাদের এ ঘুষ বানিজ্যর একমাএ সহায়ক শক্তি মাষ্টার রুলে কর্মরত অফিস সহায়ক শুধাংস মিত্র।

এ ব্যাপারে মাষ্টার রুলে কর্মরত অফিস সহায়ক শুধাংস মিত্রের কাছে জানতে চাইলে বেড়িয়ে আসে ইন্দ্রজালে আটকেপড়া ইলিশ মাছ। তিনি জানান প্রশাসনের সর্ব মহলকে রাজিখুশি করেই চলতে হয় তাকে, মৎস বিভাগ'তো আছেই। হরিপদো দাদারা বসে থাকেন চালকের আসনে ঠিক তখনই শুধাংস দাদা ব্যস্ত থাকেন টাকা কালেকশনে। সরকার ঘোষিত অবৈধ বাধাজাল, কারেন্ট, শুধাংস দাদা নিয়ন্ত্রনে গোটা গলাচিপা উপজেলাটি। দাদাকে মাশোয়ারা দিয়েই এগুলো নদীতে ফেলাহয়। সার্বিক বিষয় নিয়ে গলাচিপা মৎস কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাসের সাথে দেখা করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

পটুয়াখালী জেলা মৎস অফিসারের কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি মুঠো ফোনে অঞ্জন বিশ্বাসকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেন। এখানেই শেষ নয় দাদা শুধাংস বাবু গলাচিপার বরেন্য রাজনীতি ব্যক্তি ক্ষমতাধর আসনের নাম ব্যবহার করে স্বপদে বহাল আছেন বলেও স্থানীয় সূত্রে যানাযায়। বিস্থারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন পরবর্তী সংক্ষায়।

এবিএন/জিল্লুর রহমান জুয়েল/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত