![কে হচ্ছেন নীলফমারী ৩ আসনের নৌকার মাঝি](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/18/nilfamari@abnews_126448.jpg)
জলঢাকা, নীলফামারী, ১৮ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নীলফামারীর-৩(জলঢাকা-কিশোরগঞ্জ আংশিক) আসনে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ সহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হচ্ছে। সেই সাথে তারা কেন্দ্রে দলীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে তদবীর করছেন। তবে কে হচ্ছেন নীলফামারী-৩ (জলঢাকা-কিশোরগঞ্জ আংশিক) আসনে আওয়ামীলীগের নৌকার মাঝি তা কেউ বলতে পারছেন না, এবং এ নিয়ে চরম দ্বিধা-দ্বন্দে আছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, আগামী ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগে সংসদীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক করে প্রার্থী বাছাই করবেন। এদিকে নীলফামারী-৩ আসনে নির্বাচন, প্রার্থী ও দলের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী, গোয়েন্দা সংস্থা, সংগঠনের সাংগঠনিক রিপোর্ট সহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন প্রধান মন্ত্রী ও দলীয় সভা নেত্রী শেখ হাসিনার নিকট। কেননা ১৯৯১ সাল থেকে হাত ছাড়া হওয়া এ আসনটিতে স্বাধীনতার পর হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামীলীগ ও জামায়াত ৩ বার করে জয়ী হয়, জাতীয় পার্টি ২ বার। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী জয়ী হয়ে উদ্ধার করে এ আসন।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৩ আসনে আওয়ামীলীগের ত্যাগি, সৎ, পরিশ্রমি ও সবার কাছে গ্রহনযোগ্য ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিকে নৌকার মাঝি বানানো দাবী জানিয়েছেন দলের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। এতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে প্রকৃত পক্ষেই কে হচ্ছেন আওয়ামীলীগের নৌকার মাঝি। এ নিয়ে এলাকার সর্বত্রই চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। এ দিকে এবারের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মননোয়ন প্রত্যাশি বর্তমান সংসদ সদস্য ও জলঢাকা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক শহিদ হোসেন রুবেল, উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর, রংপুর জেলা ছাত্রীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ একে এম শহিদুল ইসলাম সহ অনেকে।
মননোয়নকে কেন্দ্র করে অনেক দিন ধরে দলে চলছে গ্রুপিং ও দরীয় কোন্দল। এদিকে দলের মননোয়ন প্রাপ্তি নিয়ে দারুন আশাবাদী মননোয়ন প্রত্যাশিরা। এদিকে নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে নেতারা বলেন যদি এ নির্বাচনে বহিরাগত ও মৌসুমি অতিথি, বিতর্কীত প্রার্থী বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগের আভ্যন্তরীন কোন্দল মিটিয়ে যোগ্য ত্যাগি ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়া হয় তাহলে এ আসনটি থাকবে। তা না হলে হাত ছাড়া হবে।
এবিএন/ হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান/জসিম/নির্ঝর