শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • বারি গম-৩৩ চাষে অধিক লাভবান হবেন চাষীরা: কৃষি বিভাগ

বারি গম-৩৩ চাষে অধিক লাভবান হবেন চাষীরা: কৃষি বিভাগ

বারি গম-৩৩ চাষে অধিক লাভবান হবেন চাষীরা: কৃষি বিভাগ

ফরিদপুর, ১৯ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : উন্নত জাতের উচ্চফলনশীল ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী তাপ সহিষ্ণু, জিঙ্কসমৃদ্ধ ও প্রতিকুল পরিবেশ সহনশীল বারি গম-৩৩ চাষ শুরু করেছে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মহেশ্বরদী এলাকার চাষীরা। পরীক্ষামূলক ভাবে বারি গত-৩৩ চাষ করে চাষীরা অধিক ফলনের আসা করছেন। আর কৃষি বিভাগ বলছেন বারি গম-৩৩ উন্নত একটি জাত। সবেমাত্র মুক্তি পেয়েছে। এটি ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী। এই গম চাষ করে কৃষক অধিক লাভবান হবে।

গতবছর ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মহেশ্বরদী এলাকার গম ক্ষেতে ব্যাপক আকারে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়। শুধু ফরিদপুরেই নয় ২০১৬সালে যশোর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার হেক্টোর জমির গম নষ্ট হয়ে যায়।

আর সে কারনেই আন্তর্জাতিক গম ও ভুট্টা উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) গমের দুটি জাতের সঙ্গে সংকরায়ণের মাধ্যমে উচ্চফলনশীল জাতটি উদ্ভাবন করে। আর বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট (বারি) গম গবেষনা কেন্দ্র এর নামকরন করে বারি গম-৩৩। গত ১১ অক্টোবর জাতীয় বীজ বোর্ড বারি গম- ৩৩ চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়। এটি ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী, তাপ সহিষ্ণু, জিঙ্কসমৃদ্ধ ও প্রতিকুল পরিবেশ সহনশীল।

চলতি মৌসুমে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলাসহ দেশের বেশ কয়েটি জেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে উচ্চফলনশীল বারি গম-৩৩ চাষ হয়েছে। বারি গম-৩৩ এর পাশাপাশি চাষীরা ব্লাস্ট রোগ সহনশীল জাত বারি গম-৩০ ও বারি গম-৩২ ব্যাপক ভাবে চাষ করেছে ফরিদপুর জেলা চাষীরা। চলতি বছর ফরিদপুর অঞ্চলে ব্লাস্ট রোগের আক্রমন না হওয়া চাষীরা গমের অধিক ফলন আসা করছেন।

চাষীরা জানায় গত বছর ব্লাস্ট রোগের কারনে আমার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। এক কেজি গম আমরা ঘরে তুরতে পারিনি। আর সে জন্য চলতি বছর আমরা ব্লাস্ট রোগপ্রতিরোধী বারি গম-৩৩ চাষ করেছি। আমাদের গম ভাল হয়েছে। আসা করছি আমরা অধিক ফলন পাব এবং ব্যাপক লাভবান হব।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসডিসি’র নির্বাহী পরিচালক কাজী আশাফুল সাহান বলেন, সিমিট এবং কৃসি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাথে আমরা যৌথ ভাবে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অল্প খবরচে অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ উন্নত বীজ ও সার দিয়ে সহযোগিতা করে থাকি।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায় বারি গম-৩৩ এর জীবন কাল ১১০ থেকে ১১৫দিন। যা অন্য জাতের চেয়ে ১০দিন আগে ঘরে তুলতে পারে চাষীরা। চরতি বছর জেলায় ২৭হাজার ৪৭৫ হেক্টোর জমিতে গমের চাষ হয়েছে।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, বারি গম-৩৩ ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী একটি জাত। ব্লাস্ট রোগ দুই ভাবে দমন করা যায়। একটি হচ্ছে বীজ শোধন করে নেওয়া। অপরটি হচ্ছে উপযুক্ত জাত। এটি স্বল্প কালীন জাত এবং ফলন বেশী হয়। চাষীরা এই জাত চাষ করে অধিক লাভবান হবেন।

ফরিদপুর অঞ্চলর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কিংকর চন্দ্র দাস বলেন, গতবছর ফরিদপুর জেলায় প্রথম ব্লাস্ট রোগ ধরা পড়ে। আমার অঞ্চলে গতবছর ৭.১২কেক্টোর জমিতে গমে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়। আর সে কারনেই আমরা এই এলাকায় ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী বারি গম-৩৩ আবাদ করা হয়েছে। বারি গম-৩৩ চাষ করে কৃষরা লাভবান হবে।

আগামীতে সরকারী সহযোগিতা পেলে এবং ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী বারি গম-৩৩ এর বীজ সহজে পেলে আগামীতে এই অঞ্চলে গমের আবাদ বৃদ্ধি পাবে।

এবিএন/কে. এম. রুবেল/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত