![‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আনসার বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে’](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/19/pm_126582.jpg)
গাজীপুর, ১৯ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে আনসার বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। কোনো অপশক্তি যেন দেশের শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে সে জন্য সজাগ থাকতে হবে। দরিদ্র ও সন্ত্রাসমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এই বাহিনীকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে।
আজ সোমবার গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৮তম জাতীয় সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভোটের অধিকার জনগণের মৌলিক অধিকার। সেটা যেন তারা যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারে। আমরা চাই, আমাদের দেশের জাতীয় নির্বাচন আরও সমৃদ্ধশালী হোক। জনগণ যেন তাদের সাংবিধানিক অধিকারটা প্রয়োগ করতে পারে; সেই বিষয়টায় যথাযথভাবে আপনাদের দৃষ্টি দিতে হবে।
জননিরাপত্তা বিধানে আনসার ও ভিডিপিকে সরকারের এক ‘নির্ভরযোগ্য বাহিনী’ হিসেবে গড়ে তোলার কথাও বলেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আনসার বাহিনী সমগ্র বাংলাদেশে বিস্তৃত। তৃণমুল পর্যায় পর্যন্ত এই বাহিনী আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। দেশের সর্ববৃহৎ শৃঙ্খলা বাহিনী হিসাবে এই বাহিনীর এক গৌরবময় ঐতিহ্য রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, যে কোনো মূল্যে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা আপনাদের রক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে সঙ্গে আপনারা সঠিকভাবে চেইন অব কমান্ড মেনে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সব সময় সচেষ্ট থাকবেন, সেটাই আমরা চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা যখন সারা দেশে আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল, তখন আপনারা তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। আমরা যখনই ক্ষমতায় এসেছি তখনই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি বাহিনীর উন্নয়নে কাজ করেছি।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে চেইন অব কমান্ড মেনে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরাই প্রথম আনসার বাহিনীকে পতাকা হাতে তুলে দিয়েছিলাম। আমরা আপনাদের জন্য সর্বনিম্ন ১৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধি করেছি। আপনাদের কাজের মাধ্যমে আপনারা সরকারের নির্ভর বাহিনী হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ যেন বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে সে জন্য আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধানকে আনসার সদস্যদের ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর পর জাতীয় সংগীতের পর প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
কূচকাওয়াজের সালাম গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী সাহসিকতা ও সেবামূলক কাজের জন্য আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের পদক পরিয়ে দেন।
প্রধানমন্ত্রী আনসার ও ভিডিপি একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন এবং এই বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন।
এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ