
ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : বহুল প্রতীক্ষিত চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি সেবা ফোর জি দুনিয়ায় প্রবেশ করল বাংলাদেশ।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে আজ সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে চার মোবাইল ফোন অপারেটর প্রধানদের হাতে লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ অপারেটরদের প্রধানদের হাতে ফোর-জি’র লাইসেন্স হস্তান্তর করেন।
লাইসেন্স পাওয়ার পরপরই মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে ফোর-জি সেবা চালু করার কথা রয়েছে। এরইমধ্যে ঢাকায় চালু হয়েছে ফোর-জি সেবা।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের এমডি অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস এবং টেলিটকের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী গোলাম কুদ্দুস ফোরজি লাইসেন্স গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ফোর-জি চালু হওয়ার পর ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি পাবে এতে সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। এই লাইসেন্স হাতে পাওয়ার পরপরই গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক তাদের ফোর জি সেবা চালু করবে বলে আগেই জানিয়েছিল।
বিটিআরসি গত সপ্তাহে ঢাকায় নিলামের মাধ্যমে ফোরজি তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়। নিলামে অংশ নেয় গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। গ্রামীণফোন নিলামে ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে। গ্রামীণফোনের এখন তরঙ্গের পরিমাণ ৩৭ মেগাহার্জ।
নিলামে বাংলালিংক ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্জ এবং ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫.৬ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে। অপারেটরটির মোট তরঙ্গের পরিমাণ ৩০.৬।
নিলামে রবি ও টেলিটক অংশ না নিলে তাদের যে টুজি ও থ্রিজি ব্যান্ডে যে তরঙ্গ রয়েছে তা ফোরজি নেটওয়ার্ক বিস্তারে ব্যয় করতে পারবে। কেননা, বিটিআরসি নতুন এক নির্দেশনায় অপারেটরগুলোকে টেক নিউট্রালিটি দিয়েছে।
ফলে অপারটরগুলোর অব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যান্ডের তরঙ্গ ফোরজিতে ব্যবহারে বাধা নেই।
রবি ও এয়ারটেল একীভূত হওয়ার ফলে তাদের তরঙ্গও একীভূত হয়েছে। রবির এখন মোট তরঙ্গের পরিমাণ ৩৬.৪। টেলিটকের তরঙ্গ আছে ২৫.২ মেগাহার্জ।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক ছিল ১৪ কোটি ৫১ লাখ ১১ হাজার।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি