![ফরিদপুরে বিএনপির মিছিলে পুলিশের পিটুনি: আটক ২০](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/20/abnews-24.bbbbbbbbbbb_126778.jpg)
ফরিদপুর, ২০ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : ফরিদপুরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের বেধড়ক পিটুনি ও গুলিতে সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের সুপার মার্কেট চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। সকালে থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে সুপার মার্কেট চত্বরে আসতে থাকে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার এসআই নাসিরের নেতৃত্বে পুলিশ মিছিলে বাধা দিতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ ব্যানার কেড়ে নেয়। পুলিশ কয়েক দফায় নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা ও সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম সেখানে পৌঁছালে পুলিশ বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এস আই নাসির, হারুন, আবুল ও কনস্টেবল নাহিদুলের নেতৃত্বে পুলিশ বাঁশের লাঠি দিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েলসহ নেতা শতাধিক কর্মী লুটিয়ে পড়ে। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়লে পুলিশ কোনো সতর্ক না করে সরাসরি গুলি চালায়।
এতে সাংবাদিক ও শতাধিক নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। ডিবি পুলিশের সদস্যরা সুপার মার্কেট সহ চৌরঙ্গী মোড়সহ পুরো এলাকার দোকানপাট, বাড়ি ঘর ও পথচারীদের ওপর চড়াও হয়। এতে পুরো এলাকায় ত্রাস ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদ এলাকায় ছোটে। এ সময় পুলিশ মোদাররেছ আলী ইছা ও জুলফিকার হোসেন জুয়েলসহ ২০ নেতাকমীকে আটক করে।
এদিকে বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ ইসলাম ফরিদপুর প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক এক প্রেসব্রিফিং করে পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পুলিশের এ নগ্ন হামলার জড়িতদের বিচারের দাবি জানান।
এবিএন/কে.এম. রুবেল/জসিম/তোহা