শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
বাঘাবাড়ী নৌবন্দর অভিমুখে

যমুনায় নাব্যতা সংকটে আটকে পড়েছে শতাধিক জাহাজ

যমুনায় নাব্যতা সংকটে আটকে পড়েছে শতাধিক জাহাজ

সিরাজগঞ্জ, ২০ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌবন্দর অভিমুখে যমুনা নদীতে নাব্যতা সংকটে চর ও ডুবোচরে আটকে পড়েছে শতাধিক পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ। এসব জাহাজে ইউরিয়া সার, জ্বালানি তেল ও কয়লাবাহী কমপক্ষে ১৩১টি কার্গো জাহাজ গোয়ালন্দ পাটুরিয়া ও দৌলদিয়া পয়েন্টে নোঙর করে রাখা হয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে। এতে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব মাস্টার জানান, যমুনা নদীতে যথাসময়ে ড্রেজিং না করায় এই চ্যানেলে ৫টি পয়েন্টে এ নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। একমাসের বেশি দিন ধরে যমুনায় নাব্যতা সংকট দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এখনও। ইতিমধ্যেই যমুনা নদীর মোল্লার চর, নেইটার চর, চর পেঁচাকোলা, ব্যাটারির চর, কৈটোলা চর ও মোহনগঞ্জ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পানির গভীরতা কমে গেছে।

এতে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া থেকে সার, তেল ও কয়লাবাহী কোনো জাহাজ বাঘাবাড়ি নৌবন্দর অভিমুখে আসছে না। এ বিষয়ে উত্তরাঞ্চলের প্রধান নৌবন্দর বাঘাবাড়ির ইজারাদার আব্দুস সালাম ও শ্রমিক এজেন্ট আব্দুল মজিদ বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে যমুনা নদীতে ড্রেজিং না করার কারণে নাব্যতা এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে নদীতে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে ড্রেজিং করে না। প্রায় একমাস ধরে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে সরাসরি কোনো জাহাজ ভিড়তে চরম বিঘ্ন ঘটছে। এতে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম অনেকটাই কমে গেছে।

এ কারনে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে ৫/৬ শত শ্রমিক কর্মসংস্থান হারিয়েছে। এ মৌসুমে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর ঘাটে প্রতিদিন ১১শ থেকে ১২’শ শ্রমিক কাজ করতো। এমন পরিস্থিতির কারনে বর্তমানে আড়াইশ থেকে তিনশ শ্রমিক কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বাঘাবাড়ি পোর্ট অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, যমুনায় নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। তবে লাইটারেজের মাধ্যমে দিনে দুই থেকে তিনটি জাহাজ নৌবন্দরে ভিড়ানো হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে ২/১ দনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এবিএন/এস.এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত