শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • ঝিনাইদহে কনস্টেবল আলিমের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন

ঝিনাইদহে কনস্টেবল আলিমের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন

ঝিনাইদহে কনস্টেবল আলিমের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন

কালিগঞ্জ, ২১ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মুসা মিয়ার স্ত্রী রিপ্না খাতুন ও তার মেয়ে মুন্নি আক্তারকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত পুলিশ কনস্টেবল আলিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত পুলিশ কনস্টেবল আলিমের(৩২) বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার যাদবপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল খালেক।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক সুধাংশু কুমার হালদার বলেন, গত সোমবার দেবহাটার ইছামতী নদীর ছুটিপুর ও কালিগঞ্জের ইছামতী নদীর বসন্তপুর থেকে যথাক্রমে মেয়ে মুন্নি আক্তার ও মা রিপ্না খাতুনের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দেবহাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী ও কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ইসরাফিল বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি ডাক্তার দেখাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা স্ত্রী ও সন্তানকে না পেয়ে মহেশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন মুছা মিয়া। এ সময় তিনি পুলিশকে জানান যে, সাড়ে পাঁচ বছর আগে রিপ্না খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হলেও একই গ্রামের আলীমের সঙ্গে তার ভালভাসা ছিল। আলীম(কং নং- ৯৫২৮) বর্তমানে ঢাকার গুলশানে ডিপোম্রেট্রিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত। ছুটিতে থাকা আলীমকে গত বৃহষ্পতিবার রাতে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার যাদবপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় কালিগঞ্জ থানার পুলিশ আটক করে।

পূর্বের ভালবাসার সম্পর্কের জের ধরে ইতিপূর্বে আলিম কালিগঞ্জ থানায় কাজ করার সুবাদে পূর্ব পরিচিত কোন ব্যক্তির বাড়িতে এনে ধর্ষণের পর মা ও মেয়েকে হত্যা করে নদীতে ফেলে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে লাশ সনাক্তকালে পুলিশকে অবহিত করেন মুছা মিয়া। প্রাথমিক তদন্তে রিপ্না ও মুন্নিকে সাতক্ষীরায় নিয়ে এসেছিল আলিম তার সত্যতা মিলেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমা- আবেদন জানানো হয়েছে।

এবিএন/মোঃ রফিকুল ইসলাম/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত