
ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : বাংলাদেশ উপহাইকমিশন মুম্বাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে তাজ প্রেসিডেন্ট হোটেলে অমর একুশে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি ভিডিওচিত্র আকারে উপস্থিত দর্শকম-লির জন্য প্রদর্শিত হয়। এরপর আলোচকগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আলোচনাপর্ব শুরু হয়। আলোচকগণ প্রত্যেকেই নিজ নিজ মাতৃভাষার সংরক্ষণ এবং প্রচারের প্রতি বিশেষ গুরুত্বআরোপ করেন।
মুম্বাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার মোঃ লুৎফর রহমান তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের শহিদ দিবসের মর্মস্পর্শী ও গৌরবোজ্জল ইতিহাস তুলে ধরেন। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে অমর একুশের স্বীকৃতির পটভূিম ব্যাখ্যা করেন।
আলোচনা পর্ব শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। জাপান ও ভিয়েতনামের কনসাল জেনারেল, কলাম্বিয়ার অনারারী কনসাল জেনারেলের সহধর্মিণী এবং বাংলাদেশি প্রবাসী নাগরিক নুসরাত পাই স্ব স্ব মাতৃভাষায় কবিতা আবৃত্তি করেন। এরপর ‘আনাম প্রেম’ শিল্পগোষ্ঠীর সদস্যবৃন্দ তাঁদের পরিবেশনায় বাংলা ভাষায় কবিতা পাঠ, সিন্ধী ও আগরি ভাষায় প্রাচীন সংগীত পরিবেশন এবং কলি (জেলে) সম্প্রদায়ের জীবনবৃত্ত, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং উৎসবকে নৃত্য ও গীতের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। শিল্পীরা তাঁর বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে মাতৃভাষা সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্র সরকারের প্রটোকল প্রধান শ্রী রাজাগোপাল দেভারা। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন-মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. অবিনাশ পান্ডে, সোমাইয়া বিদ্যাবিহার ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. কনকলতা তিওয়ারি এবং একই ইনস্টিটিউটের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক ড. সত্যেন্দ্র কুমার উপাধ্যায়, কনসাল জেনারেল, কূটনৈতিক, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং উপহাইকমিশনের সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর