![সিরাজগঞ্জে অযত্ন অবহেলায় রয়েছে প্রথম শহীদ মিনার](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/22/untitled-1_127134.jpg)
সিরাজগঞ্জ, ২২ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : সিরাজগঞ্জে শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন ভাষা সংগ্রামীরা। ৫২’র ভাষা আন্দোলনের পরের বছরই তৎকালিন মহুকুমা শহর সিরাজগঞ্জের প্রথম শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়।
প্রথম শহীদ দিবসে এ শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে পাকিস্তান সরকারের পুলিশের হাতে বন্দী হন অনেক ভাষা সৈনিক। এমন ঐতিহাসিক শহীদ মিনারটি পড়ে রয়েছে অযত্ন-অবহেলায়। দীর্ঘদিন ধরে এ শহীদ মিনারের জরাজীর্ণ বাউন্ডারি ওয়াল ঘেষে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দোকানপাট।
এসব দোকানপাটের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে শহীদ মিনারের পাদদেশে এবং পার্কিং করে রাখা হয়েছে মোটর সাইকেল। সামনে রয়েছে সন্ধা রাতের মাছ তরুতরকারির বাজার। স্থানীয়রা জানান, ২০১১ সালের আগে এই শহীদ মিনারেই জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে ফুল দেয়া হতো।
কিন্তু ২০১২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার ষ্টেশন এলাকায় গড়ে তলো হয় মুক্তির সোপান শহীদ মিনার। প্রতিবছর মুক্তির সোপানেই শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফুল দেয়া হয়। এতে শহরের ইবি রোডস্থ প্রথম শহীদ মিনারটি গুরুত্ব হারায়।
এ কারণে শহীদ মিনারের সংস্কারের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ভাষা আন্দোলনকারী প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রতু বলেন, ভাষা শহীদদের স্মরণে ওই সময় ভাষা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, মশিউর রহমান টিংকু ওরফে আজিজ মেহের, নুরুন্নবী খান, তমিজুল ইসলামসহ সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে বিড়ি ও রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা এ শহীদ মিনার স্থাপন করেন।
এ শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করা হয়েছিল ৬ বছরের শিশু জিন্নত আলীকে দিয়ে। শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলে পাকিস্তানী পুলিশ আমাকেসহ আব্দুর রশিদ নান্নু, আব্দুল হান্নান তালুকদার, সৈয়দ কায়সার আলী, মফিজ উদ্দিন তালুকদার, জাফর ইমাম ভোলা ও নির্মল বসাকসহ অনেক ভাষা সংগ্রামীকে গ্রেফতার করে। এ শহীদ মিনারের অনেক ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে।
বর্তমানে মুক্তির সোপান শহীদ মিনারটি ব্যবহার করা হলেও এ শহীদ মিনারটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণও জরুরী হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা বলেন, শহরের বাজার ষ্টেশন এলাকায় স্থাপিত মুক্তির সোপানেই ফুল দিয়ে আসছি আমরা। তবে শহরের প্রথম শহীদ মিনারটি সংস্কার করা জরুরী। আগামী বছর ২১ ফেব্রুয়ারির আগেই ওই ঐতিহাসিক শহীদ মিনারটি সংস্কার করা হবে এবং সেখানে ভাস্কর্য স্থাপন ও ফুলের বাগান তৈরি করে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ গড়ে তোলা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এবিএন/এস,এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/রাজ্জাক