![গলাচিপা মৎস্য অফিসে চাঁদাবাজীর সংবাদ প্রকাশের পর তদন্ত টিম গঠন!](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/24/potuakhali@abnews_127369.jpg)
পটুয়াখালী, ২৪ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : ‘পটুয়াখালী গলাচিপা সিনিয়র মৎস অফিসের নিরব চাঁদাবাজির চাপাকলে অসহায় শতাধিক জেলে পরিবার’ শিরনামে দেশের স্বনামখ্যাত জাতীয় দৈনিক ও বরিশালবিভাগীয় প্রভাশালী দৈনিক বরিশাল সময় ও দৈনিক সমাচার প্রিন্ট ও অন লাইন ধনহবংি২৪.পড়স, ৭১নফহবংি সহ বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল গুলোতে সংবাদ প্রকাশ হলে, নরেচরে উঠে পটুয়াখালী জেলা ও উপজেলার মৎস্য অফিস। উল্লেখ্য দেশের রাজস্ব আয়ের সিংহ ভাগ আসে প্রাকৃতিক রুপালী ইলিশ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আর এ রুপালী সম্পদ রক্ষায় চলতি মৌসুমে জাটকা নিদন বন্ধে পটুয়াখালী গোটা মৎস বিভাগ সহ-জঅই- পুলিশের ব্যাপক অভিযানে সামইক থেমে গেলেও বর্তমানে সক্রিয়। সিন্ডিকেট চক্র।
জাটকা নিদন বন্ধে পটুয়াখালী জেলার মৎস্য বিভাগ লোকবলের স্বল্পতা থাকালেও পাশাপাশি মৎস্য বিভাগকে সাহায্য করতে রয়েছে, কোষ্টগার্ড, জঅই, পুলিশ সহ দেশের বিবেক ও কর্নধর গনমাধ্যম বৃন্দরা। এর পরেও দেখাযায় মৎস্য অফিস নিয়োযুক্ত বিভিন্ন বহিরাগত লোকজন সহ বিভাগের কানামাছি খেলা। আর এই কানামাছি খেলায় আছে প্রায় অগনিত দালাল ও মৎস্য অফিস। আর এ সকল বিষয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধানে নিরালস ভাবে কাজ করছেন পটুয়াখালী ও উপজেলার সিনিয় সাংবাদিক বৃন্দ। সরেজমিন প্রতিবেদনে প্রান্তিক জেলে, স্থানীয় জেলে পরিবার থেকে নেয়া গোপন ভিডিও ফুটেজে বেরিয়ে আসে নীরব চাঁদাবাজীর অজানা তথ্য। গলাচিপা উপজেলার হরিদেবপুর, পানপট্রি, বন্যাতলি, চরকাজল, চরশিবা, উলানিয়া বন্ধর, এসকল নদী ও তীরবর্তী স্থান গুলো মৎস আহরন ও মৎস্য আড়ৎদের প্রান কেন্দ্রবিন্দু।
প্রান্তিক জেলে ও সাবার মালিকরা এসকল আড়ৎ থেকে নগদ অর্থের বনিময় তাদের সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, মোটাদাগে এক কথায় বলতে গেলে আড়ৎ ব্যবসায়ীগন প্রান্তিক জেলে ও সবার ব্যবসায়ীদের ছত্রপতির ভুমিকায় পটুয়াখালী জেলার মৎস্য অফিস গুলো। এরই ধারাবাহিকতায় গলাচিপা উপজেলার সিনিয়র মৎস অফিসে চলছে ঘুষ বানিজ্যর মহাউৎসব। গলাচিপা উপজেলার মৎস অফিসে জনবল সংক্ষা সর্বমোট ৫ জন। যার মধ্যে সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা, এ এফ ও, ক্ষেত্র সহকারী, অফিস সহকারী ও মাষ্টার রুলের অফিস সহায়ক এমন। তাদের এ ঘুষ বানিজ্যর একমাএ সহায়ক শক্তি মাষ্টার রুলে কর্মরত অফিস সহায়ক শুধাংস মিত্র ও বহিরাগত জনবল। এ বেপারে মাষ্টার রুলে কর্মরত অফিস সহায়ক শুধাংস মিত্রের কাছে জানতে চাইলে বেড়িয়ে আসে ইন্দ্রজালে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও বাধা জালে আটকেপড়া নীরব চাদাঁবাজীর অজানা সব তথ্য। তিনি জানান প্রশাসনের সর্ব মহলকে রাজিখুশি করেই চলতে হয় তাকে, মৎস্য বিভাগতো আছেই! হরিপদো দাদারা বসে থাকেন চালকের আসনে ঠিক তখনই মাষ্টার রুলের এম এল এস এস শুধাংস ও অফিস নিয়োযুক্ত বহিরাগত লোকজন ব্যস্ত থাকেন টাকা কালেকশনে।
সরকার ঘোষিত অবৈধ বাধাজাল, কারেন্ট জাল গুলোকে দেখেও না দেখার অজুহাতে অবৈধকে বৈধ করে দিচ্ছে গলাচিপা উপজেলা মৎস্য অফিস। অনুসন্ধানে বেরীয়ে আসে শুধাংস মিত্রের নিয়ন্ত্রনে গোটা গলাচিপা উপজেলার নদী। আর দাদাকে মাশোয়ারা দিয়েই এগুলো নদীতে ফেলাহয় নিষিদ্ধ কারেন্ট ও বাধা জাল। এ বিষয়ে বিষয় নিয়ে গলাচিপা মৎস কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাসের সাথে কথা হলে, নদীতে বাধাঁ ও কারেন্ট জাল নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে, তিনি এ কিছুই জানেন না বলে প্রতিবেদককে জানান।
অন্যদিকে এবিষয়ে পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আবুল হাছানাত প্রতিবেদককে জানান, আসলে এটা দুঃখ্য জনক ও আশাব্যঞ্জক। তবে এর অন্যায় ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্ত মো. মশিউর রহমান সহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম কঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমানীত হলে, দূর্নীতিবাজ ও ঘুষ বাণিজ্যের কারনে প্রকৃত অপরাধীকে বিভাগীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান। দেশের স্বনামখ্যাত মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের সুচিন্তিত মনবলে, তদন্তকারী টিম প্রকৃত অপরাধীর মুখোষ উম্মচন করে, মৎস্য বিভাগের সুনাম ধরে রাখবে এটাই আগামী দিনের প্রত্যাশা। অনুসন্ধান চলছে, পরর্বতী সংক্ষায় আমাদের সাথেই থাকুন।
এবিএন/মু.জিল্লুর রহমান জুয়েল/জসিম/তোহা