শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

ঢাকাসহ ৮ মহানগরীতে শিল্প স্থাপন নয়

ঢাকাসহ ৮ মহানগরীতে শিল্প স্থাপন নয়

ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : পরিবেশ ও পানি দূষণরোধে ঢাকাসহ আটটি মহানগরীতে শিল্প স্থাপনের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ রবিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীসহ ঢাকার চারপাশে নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত ‘টাস্কফোর্স’ এর ৩৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রী ও টাস্কফোর্স এর সভাপতি শাজাহান খান সভাপতিত্ব করেন। এসময় ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুস সামাদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বলা হয়,পরিবেশ ও নদীর পানি দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থানান্তর করা হবে। ঢাকাসহ আটটি মহানগরীতে নতুন করে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে না। এতে পরিবেশ ও পানি দূষণ কমে আসবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য ইউটিলিটি সেবা গ্রহণ ও দূষণরোধে অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হবে।

সভায় জানানো হয়, পরিবেশ ও নদীর পানি দূষণরোধে সাভার চামড়া শিল্প নগরীর সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) ত্রুটিমুক্ত করতে শিল্প মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সিইটিপি সম্পূর্ণভাবে স্থাপন ও কার্যকরী না হওয়া পর্যন্ত ঠিকাদারের বিল পরিশোধ না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

সভায় আরো জানানো হয়, বুড়িগঙ্গা নদীর সম্পূর্ণ অংশ, তুরাগ নদীর আংশিক এবং ধলেশ্বরী নদীর আংশিক সীমানা পুনঃজরিপ করা হয়েছে। আপত্তিকৃত ১ হাজার ১৫৪টি পিলারের মধ্যে ৭৬২টি পিলারের পুনঃজরিপের কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট আপত্তিকৃত পিলারের পুনঃজরিপের কাজ চলমান রয়েছে। সীমানা পিলার উচ্ছেদ বন্ধ করার জন্য বিআইডব্লিউটিএর মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, ঢাকা মহানগরের ৪৬টি খালের মধ্যে ২৬টি চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি খাল উদ্ধার, সংস্কার ও পাড় বাধাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা শহরের খালগুলো খননের জন্য ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে।আদি বুড়িগঙ্গা উদ্ধারে জরিপ কাজ সম্পন্ন এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে আটজন সার্ভেয়ারকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। নদী তীরে অনুনমোদিত স্থানে স্থাপিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরের কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নৌমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবদুস সামাদ, বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান এম মোজাম্মেল হকসহ টাস্কফোর্সের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিআইডব্লিউটিএ’র বাহিনী হবে

নৌমন্ত্রী বলেন, নদীর তীরে দখল রোধে বিআইডব্লিউটিএ-এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হবে।

তিনি বলেন, নদী পথের নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ আছে। পাশাপাশি নিরাপত্তার প্রশ্নে বিআইডব্লিউটিএ- একটি কর্মী বাহিনী তৈরি করা হবে। সে ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ একটি মতামত জানাবে।

ঢাকাসহ ৮ মহানগরীতে শিল্প স্থাপন নয়

শাজাহান খান বলেন, আমরা ১৩টি খাল উদ্ধারের কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কিছু উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। তবে উদ্ধার কার্যক্রমের পর খালগুলো নতুন করে দখল হচ্ছে।

আমরা মন্ত্রীদের প্রধান করে টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে (খালের উদ্ধার কার্যক্রম) পরিদর্শন করব। যারা খাল পুনর্দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। টিমগুলোর সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। তৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত