![ভোলায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/26/sova_abnews_127758.jpg)
ভোলা, ২৬ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : স্কুল থেকে ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে বাল্য বিয়ে। বাল্য বিয়ের ফলেই প্রতিনিয়ত স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এর দিকে পা বারাচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা। ফলে সরকারে যে লক্ষ মাত্রা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম অয়ের দেশ পরিণত হওয়া তা অনেকটাই বেস্তে যেতে বসেছে দ্বীপ জেলা ভোলাতে।
এই জেলায় বাল্য বিবাহর কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। তাই এমন একটি পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সবার সম্মেলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তাই ঝরে পড়া রোধের জন্য স্কুলে শিক্ষার্থীদের অগ্রনী ভূমিকা রাখার আহবান জানানো হয়।
আজ সোমবার দুপুরে ভোলা জেলা প্রশাসক এর হল রুমে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের মাধ্যমে ঝরে পড়া রোধ বিষয়ক এক কর্মশালা বক্তারা একথা বলেন।
জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর সহায়তায় ও স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং বেসরকারি সংগঠন কোস্ট ট্রাস্ট এর বাস্তবায়নে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মাহাবুবুর রহমানের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন।
এলসিবিস অফিসার মো: আবদুস সালাম এর সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুব্রত কুমার সিকদার, ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মৃধা মো: মোজাহিদুল ইসলাম, চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী অফিসার মনোয়ার হোসেন, ভোলা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রুহুল আমিন, ইউনিসেফের এর এডুকেশন অফিসার রুবাইয়া মনজুর, ভোলা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: জিহাদ হাসান প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- বিটিভির জেলা প্রতিনিধি আবু তাহের, কোস্ট ট্রাস্ট আইইসিএম প্রকল্পের প্রজেক্ট সম্মনয়কারী মো: মিজানুর রহমান, সহকারী প্রকল্প সম্মনয়কারী দেবাশীষ মজুমদার, চ্যানেল-২৪ এর জেলা প্রতিনিধি ও এডভোকেসি এন্ড মিডিয়া অফিসার মো. আদিল হোসেন,আইইসিএম প্রকল্পের উপজেলা মনিটরিং অফিসার মনিরুল ইসলাম, মো. ইউনুস প্রমুখ।
কর্মশালার শুরুতে ভোলা সদর,লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার ঝরে পড়া রোধে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন- ইউনিসেফের এর এডুকেশন অফিসার রুবাইয়া মনজুর। এসময় তিনি জানান, এই ৩টি উপজেলার ৭৫টি স্কুলে শিশু বিবাহ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি ঝরে পড়া রোধে বিভিন্ন সামাজিক ও পরিকল্পিত কার্যক্রম করা হবে। এর মাধ্যমে এক দিকে যেমন শিশু বিবাহরোধ হবে অন্য দিকে স্কুলে ঝরে পড়া রোধের সংখ্যাও অনেকটাই কমে আসবে বলে তিনি জানান।
কর্মশালায় জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন বলেন, ভোলা একটি দ্বীপ জেলা। এই জেলা অধিকাংশ মানুষ-জেলে, কৃষক, নদী ভাঙনের স্কীকার। এমনকি বিভিন্ন দুযোর্গের সাথে যুদ্ধ করে তারা তাদের জীবন পরিচালনা করে। ফলে তারা তাদের কন্যা শিশুটিকে নিয়ে এক রকম ঝুকিঁর মধ্যে থাকে।
এর সাথে আবার আরো একটি বড় সমস্য দারিদ্য্রতা ফলে তারা তার মেয়েটিকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের ইচ্ছা থাকলেও তা করতে পারে না। ফলে বাল্য বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। এর কারনেই স্কুলে ঝরে পরা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই এর জন্য সকলকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার সম্মলিত প্রচেষ্টাই পারে স্কুল থেকে ঝরে পড়াও বাল্য বিয়ে মুক্ত সমাজ গড়তে। তবে এর জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে স্কুলের শিক্ষকদের।
কারণ তাদের কথা অভিভাবক থেকে শুরু করে স্থানীয় গুরুত্ব দেয়। তাই সমাজ ব্যবস্থাকে ভালো রাখতে বাল্য বিয়ে ও ঝরে পড়া কমিয়ে আনতে হবে। অনুষ্ঠানে ভোলা সদর, লালমোহন ও চরফ্যাশন এর শিক্ষা অফিসার, শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এবিএন/আদিল হোসেন তপু/জসিম/এমসি