বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

এক পদে দুই কাজী: ভোগান্তিতে জনগণ

এক পদে দুই কাজী: ভোগান্তিতে জনগণ

লালমনিরহাট, ২৭ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : নিয়ম অনুয়ারী প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে একজন করে নিকাহ রেজিষ্টার (কাজী) আছেন। তারা ওই ইউনিয়নের বিয়ে রেজিষ্ট্রি ও তালাক প্রদানের মত জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলো করে থাকেন। নিকাহ রেজিষ্টার (কাজী)’র মাধ্যমে বাল্য বিয়ে শুন্যের কোটায় এনে লালমনিরহাট জেলাকে ইতোমধ্যে বাল্য বিয়ে মুক্ত জেলা হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে। এসব নিকাহ রেজিষ্টারদের জেলা প্রশাসক ও জেলা রেজিষ্টারের মাধ্যমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয় নিয়ন্ত্রণ করেন। নিকাহ রেজিষ্টারকে স্থানীয় ভাবে কাজী বলা হয়। বাল্য বিয়ে মুক্ত জেলার আদিতমারী উপজেলায় দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুই জন নিজেকে নিকাহ রেজিষ্টার (কাজী) বলে দাবী করে আসছেন । এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় লোকজন।

জানা যায়, লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের প্রয়াত নিকাহ রেজিস্টার কাজী সুলতান আহমেদের ছেলে মাহমুদুল হাসান ও দুলাল মিয়ার ছেলে শরিফুল ইসলাম দুইজন নিজেকে বৈধ নিকাহ রেজিষ্টার হিসেবে দাবি করে আসছেন। এ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে মাঝে মধ্যে দুই নিকাহ রেজিস্টারের মাঝে বাক বিতন্ডা থেকে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে ওই ইউনিয়নের সাংকাচওড়া এলাকার তৌফিকুল ইসলামের মেয়ে তানিয়ার বিয়েতে ওই দুই নিকাহ রেজিস্টারের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে এলাকাবাসী বৈধ নিকাহ রেজিস্টার কে তা জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা রেজিস্টার বরাবরে আবেদন করেছেন। কিন্তু সেই আবেদনের দুই মাস অতিবাহিত হলেও ভোগান্তি থেকে মুক্তি মেলেনি তাদের।

ওই ইউনিয়নের স্কুল শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে নিকাহ রেজিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাহমুদুল হাসান। কিন্তু গত বছর ডিসেম্বর থেকে নিজেকে নিকাহ রেজিস্টার হিসেবে দাবি করছেন শরিফুল ইসলাম। এলাকায় কোন বিয়ে হলে দুই নিকাহ রেজিস্টারের মাঝে বাক বিতন্ডা থেকে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। তাদের মধ্য কে সঠিক তা যাচাই করতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।

নিকাহ রেজিস্টার দাবি করা শরিফুল ইসলাম জানান, গত বছর ডিসেম্বর মাসে তাকে ওই ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্টার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

অপরজন মাহমুদুল হাসান জানান, তার বাবা দীর্ঘ দিন এ ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্টার ছিলেন। নিয়মানুযায়ী পোষ্যকোটায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২০০৮ সালে বাবার পদে ছেলেকে নিয়োগ দেন কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।

লালমনিরহাট জেলা নিকাহ রেজিষ্টার সমিতির সভাপতি কাজী আব্দুস সালাম জানান, মাহমুদুল হাসান দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করছেন এবং সমিতির সদস্য। কিন্তু শরিফুল কি ভাবে নিয়োগ পেয়েছেন তা তার জানা নেই বলেও জানান তিনি।

লালমনিরহাট জেলা রেজিষ্টার তাপস রায় জানান, তিনি নতুন এ জেলায় যোগদান করায় বিষয়টি তার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান তিনি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে একজন নিকাহ রেজিষ্ট্রার থাকার কথা কিন্তু দুর্গাপুরে দুই জন থাকার বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এবিএন/ আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত