![মদনে অঙ্গীকারনামা দিয়ে ছাড়া পেল ভূয়া ডাক্তার](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/28/doctor_abnews_127962.jpg)
মদন (নেত্রকোনা), ২৮ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : অঙ্গীকার নামা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেল ভূয়া ডাক্তার মোঃ শাহিন আলম।
আজ বুধবার মদন পৌর সদরে পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে রোগী দেখার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওয়ালীউল হাসান এ জরিমানা করেন। শাহিন আলম দীর্ঘ দিন ধরে ডাক্তারী ভূয়া সনদ ঝুলিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন।
এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে বুধবার সকালে উক্ত ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে রোগী দেখার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত হয়ে তার ডাক্তারী বৈধ কাগজ পত্র দেখতে চান। এ সময় শাহীন আলম ডাক্তারীর কোনো বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদন্ড দেন।
ভূয়া ডাক্তার নিজে এম বি বি এস নয় বলে স্বীকার করে আর কোনো স্থানে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখবেন না বলে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করেন। শাহীন আলম কিশোরগঞ্জ সদরের পূর্বতারা পাশা রেল স্টেশন এলাকার আইন উদ্দিনের ছেলে।
এ সময় আরেক ভূয়া ডাক্তার মিজানূর রহমান বৈধ কাগজ পত্র আনার কথা বলে পালিয়ে যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম আকন্দ, ডাক্তার মো. ফজলে বারী ইভান, ওসি তদন্ত শাহ নূর এ আলমসহ গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
ডায়াগনোস্টিকের মালিক মো. এনামূল হক জানান, তারা যে ভূয়া ডাক্তার তা আমার জানা ছিল না।
নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়ালীউল হাসান বলেন, ভূয়া সনদে রোগীদের সাথে প্রতারনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার সকালে পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করি।
এ সময় বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ভূয়া এম.বি.বি.এস ডাক্তার শাহীন আলমকে বাংলাদেশ মেডিকেল ৬, ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা মোতাবেক তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।
এবিএন/তোফাজ্জল হোসেন/জসিম/এমসি