রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • কয়রায় সাবরেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে দলিল লেখকদের অভিযোগ

কয়রায় সাবরেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে দলিল লেখকদের অভিযোগ

কয়রায় সাবরেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে দলিল লেখকদের অভিযোগ

কয়রা(খুলনা) , ০২ মার্চ, এবিনিউজ : খুলনার কয়রা উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রার মোঃ জামাল হোসেন জমি জায়গা দলিলের নামে অর্থ বানিজ্য করছে এমন অভিযোগ করেছেন সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মরত দলিল লেখকরা। প্রতিবাদ স্বরূপ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা কলম বিরতি পালনের মধ্য দিয়ে সাবরেজিষ্ট্রারের অনিয়মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরছেন তারা।

দলিললেখক আলহাজ আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, সাব রেজিষ্ট্রার জামাল হোসেনের নিকট অফিসিয়ালিভাবে জমি জায়গার দলিল সম্পাদনের জন্য গেলে আগেভাগেই দলিলপ্রতি ২ হাজার করে তার নিকট জমা দিতে বলেন। বিভিন্ন অজুহাতে কাগজপত্র সঠিক হয়নি জানিয়ে আরো ৫ হাজার টাকা দাবী করেন।

গত ১৯ জানুয়ারি কয়রা উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান বয়োবৃদ্ধ শাসম উদ্দিন আহমদ তার ভাই এড. মঈন উদ্দিন আহমদের খুলনার গগন বাবু রোডের বাসায় ২টি দলিল সম্পাদনের জন্য সাবরেজিষ্ট্রার জামাল হোসেনকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় দাতা শাসমউদ্দিন আহমদ তার জাতীয় পরিচয়পত্র উপর তলা থেকে আনতে গেলে সাবরেজিষ্ট্রার উঠে চলে আসেন। ঐ দিন টুটপাড়া রোডে বসবাসরত আক্তারুননেছা নামের এক মহিলার জমি রেজিষ্ট্রি হওয়ার কথা থাকলেও তিনটি দলিলের কোনটিই তিনি করেননি।

দলিল লেখক আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, শাসম উদ্দিন, মঈন উদ্দিন ও আক্তারুননেছা তিন জমি দাতার গ্রহিতারা ছিলেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন, জামসেদ আলী সানা ও রেশমা খাতুন। দলিল লেখক আলহাজ আব্দুর রাজ্জাক দাবী করেন ঐ তিনটি দলিল সম্পাদনের জন্য খুলনা যাওয়ার পূর্বে সাব রেজিষ্ট্রার কমিশন হিসেবে তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি টাকা অদ্যাবধি ফেরত দেননি এবং সরকারিখাতের ফি পর্যন্ত জমা দেননি।

এ ব্যাপারে সাবরেজিষ্ট্রার মোঃ জামাল হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমি দাতাদের আইডি কার্ড সহ অন্যান্য কাগজপত্র ক্রটিপূর্ণ থাকায় দলিল সম্পাদন করা সম্ভব হয়নি। দলিল যেহেতু হয়নি সেক্ষেত্রে কমিশনের টাকা নেওয়ার বিষয়টি অবান্তর বলে সাবরেজিষ্ট্রার জানান।

এবিএন/শহীদুল্লাহ শাহীন/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত