![চরমোন্তজে শুটকি মাছের পঁচা গন্ধে জনসাধারণ অতিষ্ঠ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/04/potuakhali@abnews_128476.jpg)
পটুয়াখালী, ০৪ মার্চ, এবিনিউজ : পটুয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলের রাংগাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে দীর্ঘ দিন যাবৎ শুটকি পল্লীর গটফাদার কামাল সিকদারের সিন্ডিকেটে গড়ে উঠেছে অবৈধ শুটকি পল্লি। যার কারনে প্রতিদিন শুটকি মাছের পচাঁ গন্ধে প্রতিনিয়ত বারছে নানান রোগবালাই। সরজমিনে জানা যায় স্থানীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তি ও বন ও পরিবেশ অফিসের ছত্র ছায়ায়, শুটকি ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের গটফাদার কালাম সিকদারের অধিনে প্রায় অর্ধ শতাধিক নিষিদ্ধ বাধাঁ জাল জেলে দিয়ে, প্রতিদিন কোটি কোটি ইলিশ পোনা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধ্বংস করে, প্রকাশ্যে শুটকি তৈরী করে বাতাসে পচাঁ গন্ধ ছরিয়ে পরিবেশ বিপর্যায়ের মধ্যে বসবাস করছে ইউনিয়নবাসী।
এতে বাদ যায়ইনি ছোট ছোট কমলমতি প্রাইমারী, মাদ্রাসা ও এ সত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষার্থী সহ নানান বয়সী মানুষজন। স্থানীয় জনসাধারণের কাছ থেকে জানা যায়, এ অবৈধ ও নিষিদ্ধ শুটকির পচাঁ দূর্গন্ধে আজ আমরা অতিষ্ঠ! এ সত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী সাবিনা আক্তার আসমা, খাদিজা আক্তার, দশম শ্রেনীর ছাত্র এনামুল, মোঃ জাহিদ হোসেন সহ, চরমোন্তাজ সরকারী প্রাথমি বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রিরা জানায়, শুটকি মাছের পচাঁ গন্ধে আমারা ঠিক মতো ক্লাস করতে পারিনা, বমি হয়, মাথা ঘুরায়, মাঝে মাঝে পেটও খারাপ হয়। কিন্তু কেউ কোন প্রতিবাদ করেনা।
এ বিষয়ে শুটকি পল্লির গটফাদার কামাল সিকাদারের কাছে জানতে চাইলে, বলেন, আমি সব কিছু ম্যানেজ করেই শুটকি পল্লি চালাই, শুটকি পল্লির অনুমোদন আছে কি না, প্রশ্ন উত্তরে বলেন, আমি রাংগাবালী থানা থেকে ট্রেড লাইসেন্স এনে এ অবৈধ কাজ করি বলে, থানা পুলিশ প্রশাসনের উপর দোষ চাপিয়ে দেয় শুটকি পল্লির গটফাদার কামাল সিকদার। অন্যাদিকে চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মিয়ার কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, এ বিষয়ে বহুবার বলেছি, কিন্তু কেউ শুনেনা বলে দায়সারর উত্তর দেন। কিন্তু আচার্য বিষয় হলো, এ বিষয়ে বহুবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ পত্রে সংবাদ প্রকাশ সহ বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের চরমোন্তাজ ইউনিয়নের রেঞ্জ কর্মকর্তা কার্যলের পাশেই দীর্ঘ দিন ও ধারবাহিকতা চলে আসছে পরিবেশ দূষন ও সাস্থ্যহানিকর শুটকি পল্লি।
এ ব্যাপারে সরাসরি কথা বলতে, চরমোন্তজ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের কার্যলয়ে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এসকল অনিয়ম ও অবৈধ শুটকি পল্লির বিষয়ে, চরমোন্তাজ পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ (সি,আই) শুদেব হাওলাদারকে জানালে, তিনি তাৎক্ষনিক কামাল সিকদারকে মুঠোফোনে শুটকি পল্লি বন্ধ করে অন্যত্রে সরিয়ে নেয়ার জন্য হুশিয়ারী দেন।
পরে বিষয়টি রাংগাবালী থানার টনক নরলে, ওসি মিলন কৃঞ্চ মিত্র, অবৈধ শুটকি ব্যবসায়ী কামাল সিকদারকে আটক করে থানায় আনার নির্দেশ দিলেও, অদৃশ্যমান চাদরে ৪ মার্চ ২০১৮ইং বেলা ২ টা পর্যন্ত তাকে থানায় ডাকা হয়নি বলে থানা সূত্রে যানা যায়। দেশের জাতীয় রুপালী সম্পদ রক্ষা ও দূষন মুক্ত পরিবেশ কর্তৃপক্ষের নজের আসবে এটাই চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বাসীর প্রানের দাবী।
এবিএন/জিল্লুর রহমান জুয়েল/জসিম/তোহা