বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

নওগাঁয় যুবককে ঝুলিয়ে পেটানোর ঘটনায় আটক ২

নওগাঁয় যুবককে ঝুলিয়ে পেটানোর ঘটনায় আটক ২

নওগাঁ, ০৫ মার্চ, এবিনিউজ : নওগাঁয় চুরির অভিযোগে দুই পা বাঁশের সঙ্গে বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে এক যুবককে পেটানোর ভিডিও শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আজ রবিবার সকালে ঘটনা খতিয়ে দেখতে মাঠে নামে জেলার পত্নীতলা থানা পুলিশ এবং অভিযুক্ত ২ জনকে রবিবার বিকেলে আটক করে সোমবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

জানাগেছে, চুরির অপবাদ দিয়ে নওগাঁর পত্নীতলায় শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবককে উল্টো করে ঝুঁলিয়ে বেধড়ক পেটানোর একটি ভিডিও শনিবার সন্ধ্যা থেকে ফেসবুকে ভাইরাল হয়। শুক্রবার উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। শফিকুল ইসলাম উপজেলার মাটিন্দর ইউনিয়নের শিবপুর সুরহট্টি গ্রামের মৃত মোহাম্মদ ওলির ছেলে।

ওই ঘটনার ভিডিওটি আদনান রহমান নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডিতে আপলোড করা হয়। এরপর ঘটনাটি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলে রবিবার পুলিশ প্রশাসন মাঠে নামে এবং ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূলহোতা নুরুনন্নবী (২২) নামে এক যবক ও গ্রাম পুলিশ মোজাফফর হোসেন (৪৫) কে বিকেলে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। আটক নুরুন্নবী উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামের এজাবুল হোসেনের ছেলে। সে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের অপারেটর।

এবিষয়ে পতœীতলা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ছিল উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়নের মধইল হাটের দিন। সেখানে শফিকুল ও রফিকুল নামে ২জনকে পকেট মারার সন্দেহে স্থানীয়রা উত্তম মধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে আবারও শফিকুলকে ধরে এনে নুরুন্নবী ও মোজাফফরসহ কয়েকজন মিলে আকবরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে উল্টো করে বাঁশে ঝুলিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায়। শনিবার সন্ধ্যায় আদনান রহমান নামে এক ব্যক্তির ফেইসবুক পেজে এ ঘটনার ভিডিওটি পাওয়া যায়। সেই ভিডিওতে দেখা যায় নুরুন্নবী ওই যুবককে পেটাচ্ছে। ভিডিও ক্লিপ দেখে রবিবার বিকালে ওই ঘটনার মূলহোতা নুরুন্নবী ও গ্রাম পুলিশ মোজাফফর হোসেনকে আটক করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরার জন্য পুলিশ কাজ করছে।

ওসি আরো জানান, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে নির্যাতনের শিকার শফিকুল ইসলাম নামে ওই যুবককে রবিবার বিকেলে শিবপুর সুরহট্টি গ্রাম থেকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিকেলেই পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এঘটনায় শফিকুল বাদী হয়ে নূরন্নবী ও মোজাফফরসহ ৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪, তাং-০৪/০৩/২০১৮ ইং। এদিকে আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক নূরন্নবী ও মোজাফফর উভয়েই শফিকুলকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে। আটককৃতদের সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানাগেছে।

এবিএন/ব্রেলভীর চৌধুরী/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত