শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • সিরাজগঞ্জে সাংবাদিকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রমাণিত
পিবিআই’র তদন্ত প্রতিবেদন

সিরাজগঞ্জে সাংবাদিকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রমাণিত

সিরাজগঞ্জে সাংবাদিকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রমাণিত

সিরাজগঞ্জ, ০৫ মার্চ, এবিনিউজ : সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক এস.এম তফিজ উদ্দিনসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে সেচ পাম্প ঘরে অগ্নিসংযোগ মামলা তদন্ত প্রতিবেদনে (অনুসন্ধান প্রতিবেদন) মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিরগেশনের (পিবিআই) এসআই মোঃ মাসুদ রানা সোমবার সংশ্লিষ্ট আদালতে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের হরিণাহাটা গ্রামে অবস্থিত মহিলা দাখিল মাদ্রাসার গঠিত ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে সাংবাদিক তফিজ উদ্দিনের বড় ভাই ওই দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হারুনর রশিদ মাষ্টারের সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা ও বেলকুচি উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বাদশাহ, জামায়াত বিএনপি সমর্থিত স্থানীয় নেতা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ওরফে হেকমত ও ইউপি সদস্য আল আমিন গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

এরই জের ধরে ২০ নভেম্বর-২০১৭ইং তারিখ সকালে জামায়াত বিএনপি সমর্থিত ওই নেতারাসহ তাদের লোকজন হারুনর রশীদ মাষ্টারের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে মারপিট, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ হামলায় নারী পুরুষসহ কমপক্ষে ১৩জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আখতার হোসেনকে মুমূর্ষ অবস্থায় বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আখের আলী ও গৃহবধু আমিনাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এব্যাপারে হারুনর রশীদ মাষ্টার বাদী হয়ে বাদশাসহ ২৮জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার ৪ বাদে ২৪ আসামি জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর বাদী হারুনর রশীদ মাষ্টার ও তার পরিবারের লোকজন জীবনের নিরাপত্তার অভাব অনুভবের প্রেক্ষিতে বাদশাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী আদালতে একটি শান্তিরক্ষা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় বিজ্ঞ আদালত ২৪ জনের বিরুদ্ধে সমনজারি করেন এবং সদর থানার ওসিকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এদিকে মামলার প্রধান আসামী বাদশাসহ ২২জন আসামী নির্বাহী আদালতে হাজির হয়ে মুছলেকা দেন। এ মামলার অপর ২জন আসামি পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এদিকে ঘরবাড়ী ভাঙচুর ও মারপিটের মামলার অন্যতম আসামী জামায়াত বিএনপি সমর্থক আবু মোস্তাক ওরফে জাবালা ও রওশন আলী ৭ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে পরেরদিন ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার গ্রামের বাড়ীতে যায় এবং ফুলের মালা গলায় দিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করে। শুক্রবার ও শনিবার রাতে তারা এই মামলার বাদীর চাচাতো ভাই আবু নোমান ও আনসার আলীর বাড়ীতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এবিষয়ে হারুনর রশীদ মাষ্টার বাদী হয়ে ১৯জনের নামে সদর থানায় একটি জিডি করেন।

এসব ঘটনায় জড়িত আসামীরা কোন উপয়ান্ত না দেখে বাদশাহ গ্রুপের সমর্থিত জামায়াত কর্মী আবু মুশফেক ফারুকীর ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর রাতে একটি সেচ প্যাম্পের ঘরে তারা নিজেরাই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে প্রতিপক্ষ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হারুনর রশীদ মাষ্টার গংদের ফাঁসানোর জন্য আবু মুশফেক ফারুকী বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, দৈনিক আজকের সিরাজগঞ্জ পত্রিকার প্রধান বার্তা সম্পাদক ও এবি নিউজ ২৪ ডডটকম সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক এস,এম তফিজ উদ্দিনসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় এই মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ এ অভিযোগটি তদন্ত শেষে মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় অভিযোগটি আমলে নেয়নি।

অবশেষে ক্ষিপ্ত আবু মুশফেক ফারুকী বাদী হয়ে ৫ ডিসেম্বর সাংবাদিক তফিজ উদ্দিনসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জুডিশিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) সিরাজগঞ্জকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই এ পিটিশন মামলাটি গ্রহনের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পিবিআই) এস,এম তারেক রহমানের তত্বাবধায়নে পুলিশ পরিদর্শক শাহেদ আল মামুনের নেতৃত্বে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাসুদ রানা গোপন ও প্রকাশ্য দীর্ঘ তদন্ত শেষে এই প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট আদালতে দাখিল করেন।

এবিএন/এস,এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত