বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

এনইসি’র বৈঠকে সংশোধিত এডিপি’র চূড়ান্ত অনুমোদন আজ

এনইসি’র বৈঠকে সংশোধিত এডিপি’র চূড়ান্ত অনুমোদন আজ

ঢাকা, ০৬ মার্চ, এবিনিউজ : আজ মঙ্গলবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) কাটছাঁট প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের এডিপির আকার কমিয়ে করা হচ্ছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। অর্থবছরের শুরুতে এডিপির আকার ছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে সংশোধিত এডিপির খসড়া পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় অনুমোদনের জন্য খসড়াটি উপস্থাপন করা হবে। সেখানেই চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

কমিশন সূত্র জানায়, এবার সরকারের নিজস্ব তহবিলের (জিওবি) বরাদ্দ ঠিক রাখা হচ্ছে। তবে কমানো হচ্ছে বৈদেশিক সাহায্য। একই সঙ্গে সংস্থার নিজস্ব তহবিলের বরাদ্দও কমবে। চলতি অর্থ বছরের এডিপি থেকে মোট ৬ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ কমানো হচ্ছে। এবারের এডিপির আকার ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ছিল ৯৬ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। যা কমানো হচ্ছে না।

অপরদিকে বৈদেশিক সহায়তার আকার ধরা হয়েছিল ৫৭ হাজার কোটি টাকা। এখান থেকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। ফলে বরাদ্দ থাকবে ৫২ হাজার ৫০ কোটি টাকা। এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মোট বরাদ্দ থেকে কমানো হবে ১ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ। আগে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১০ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনের আগের বছর হওয়ায় চলতি অর্থবছরে কোনোভাবেই উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ হ্রাসের চিন্তা নেই। তবে বৈদেশিক অংশের অর্থ ব্যয় করা একটু কঠিন। এ অবস্থায় বৈদেশিক অংশে বরাদ্দ কমিয়ে জিওবির বরাদ্দ অক্ষুণ্ণ রাখা হচ্ছে।

এর আগের অর্থবছর পরিকল্পনা কমিশনের প্রস্তাবনার চেয়ে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে এনইসি সভায় অনুমোদন করা হয়েছিল। কয়েক বছরের ধারাবহিকতায় এবারের সংশোধিত এডিপিতেও অর্থ বরাদ্দে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে পরিবহন খাত। দ্বিতীয় প্রাধান্য পাচ্ছে বিদ্যুৎ খাত। গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনয়ন ও অধিক কর্মসংস্থানের জন্য পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হবে।

সূত্র জানায়, সংশোধিত এডিপিতে নতুন ৩৫০ প্রকল্প যোগ করা হচ্ছে। ফলে প্রকল্পের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১ হাজার ৬৫৮টিতে। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ১ হাজার ৩৬৫টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১৪৩টি, জাপান ঋণ মওকুফ তহবিলের (জেডিসিএফ) প্রকল্প তিনটি। এর বাইরে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে রয়েছে ১৪৭টি। মূল এডিপিতে মূল প্রকল্প ছিল ১ হাজার ৩০৮টি। আরএডিপিতে বরাদ্দসহ অনুমোদিত প্রকল্প থাকছে ১ হাজার ৫১১টি। বৈদেশিক সহায়তা প্রাপ্তির সুবিধার্তে অনুমোদন ও বরাদ্দহীনভাবে ২৬৮টি প্রকল্প যুক্ত করা হচ্ছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনাশিপের (পিপিপি) প্রকল্প রয়েছে ৩০টি।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছর ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকার এডিপি প্রণয়ন করা হয়েছিল। অর্থবছরের মাঝখানে কাটছাঁট করে এডিপির আকার নামিয়ে আনা হয় ১ লাখ ১৯ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। অবশ্য বছর শেষে এডিপি বাস্তবায়নে ব্যয় হয় ১ লাখ ৭ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপির ৮৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয় বছর শেষে।

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ব্যয় করেছে ৫৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। মূল বরাদ্দের ৩৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে জানুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। বৈদেশিক সহায়তা থেকে ২৩ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ২ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে সাত মাসে। গত অর্থবছরের একই সময়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ব্যয় করেছিল ৩৯ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা, যা শতাংশের দিক থেকে ৩২ দশমিক ৪১ শতাংশ।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত