মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
logo
ফলন নিয়ে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

সিরাজগঞ্জে ইরি বোরো খেতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ

সিরাজগঞ্জে ইরি বোরো খেতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ

সিরাজগঞ্জ, ০৬ মার্চ, এবিনিউজ : সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকার ফসল ভান্ডার খ্যাত তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ উপজেলায় ইরি বোরো ধানের খেতে সবুজ রঙ্গের ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করেছে। এতে কৃষকরা এবার ধানের ফলন উৎপাদন নিয়ে দুচিন্তায় পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর ও স্থানীয় কৃষকদের সূত্রে জানা যায়, চলতি ইরি বোরো মৌসূমে জেলায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৮১৫ হেক্টর। বোরো মৌসুমের শুরুতে সংশ্লিষ্ট কৃষকরা মাঠে নেমে পড়ে এই লাভজনক বোরো ধান চাষাবাদে। এ চাষাবাদ শুরুতেই লাল ও সবুজ রঙের অ্যাজোলা ক্ষুদ্র পানা নিম্ন শ্রেণির ব্যাকটেরিয়া নিয়ে কৃষকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। জানুয়ারীর মাঝামাঝি থেকে রোপণ করা এলাকা ভিত্তিক ইরি বোরো ধান খেত ওই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমনে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না ধানের চারা। খুব দ্রুত এই ব্যাকটেরিয়া বংশ বিস্তার করার কারণে বিভিন্ন ধরনের বিষ প্রয়োগ করেও তেমন কাজ হচ্ছে না।

এ কারনে খেতে প্রয়োগকৃত সার খেয়ে ফেলছে ব্যাকটেরিয়া এবং দিন দিন ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত জমির পরিমাণও বাড়ছে। অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে সবুজ ব্যাকটেরিয়া পানাগুলো অন্যত্র সরিয়ে ফেললেও রাতের মধ্যে তা আবার ভরে উঠছে। এ অবস্থার পরিথিতির সৃষ্টি হয়েছে জেলার চলনবীল এলাকার তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ উপজেলার প্রায় ৩৫ ভাগ এই ফসলি জমিতে। উল্লাপাড়া উপজেলার গোজা ব্রিজ এলাকার কৃষক রমজান ও হায়দার আলী মন্ডলসহ অনেকেই বলেন, চলতি বছর শীত ও শৈত্য প্রবাহের কারণে বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এরপর চারা রোপণের পর থেকে জমিতে সবুজ রংয়ের পানায় ও উদ্ভিদে ভরে যায়। প্রায় দুই মাস আগে জমিতে বোরো ধানের চারা লাগিয়েছি কিন্তু বড় হচ্ছে না।

এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন কোম্পানির লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তারা সঠিক ওষুধ দিতে পারছেন না। তাদের কথা মতো জমিতে বিষ প্রয়োগ করেছি তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। একদিকে খরচ বাড়ছে অন্যদিকে সমাধানের রাস্তা পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে এবার লোকসান গুনতে হবে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী বলেন, এ রোগটি এ বছরই প্রথম দেখা দিয়েছে। এ সম্পর্কে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

গবেষকদের আক্রান্ত বোরো ধান খেতগুলো খুব শিঘ্রই সরেজমিনে দেখানো হবে। তারা যে নির্দেশনা দেবেন সেই মোতাবেক কৃষকদের পরামর্শ ও ব্যবস্থা নেয়া হবে হবে। তবে প্রাথমিকভাবে কৃষকদের এসিআই কোম্পানির জাম্প নামক ওষুধটি ব্যবহারে পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এবিএন/এস.এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত