শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

সেনবাগে মৃত গৃহবধূকে জীবিত উদ্বার

সেনবাগে মৃত গৃহবধূকে জীবিত উদ্বার

সেনবাগ (নোয়াখালী), ০৭ মার্চ, এবিনিউজ : সেনবাগে জামাইকে ফাঁসাতে কন্যাকে খুন ও গুমের মিথ্যা মামলায় ভিকটিম কে চট্রগ্রামের চাদগাঁও থেকে উদ্বার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টায় সেনবাগ থানার ওসি হারুন অর রশিদ চৌধুরীর সার্বিক তত্তাবধানে এস আই মো: বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলা রুজুর ১১ দিনের মাথায় মিথ্যা ও সাজানো মামলার ভিকটিম মাহমুদা আক্তার (২৬) কে উদ্বার করতে সক্ষম হয়েছেন।

মামলার বাদী মাহমুদার পিতা কেশারপাড় ইউপির কালারাইতার ছালে আহাম্মদ পলাতক রয়েছেন। অপরদিকে, মামলার প্রধান আসামী মাহমুদার স্বামী খাজুরিয়ার হাফেজ এমদাদের মুখে হাসি ফুটেছে। কারন স্বামী স্ত্রীর বনিবনা না হবার কারনে শশুর নিজ কন্যাকে চট্রগ্রামের চাদগাঁও এলাকার একটি ভাড়া বাসায় লুকিয়ে রেখে জামাই সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সেনবাগ থানায় খুন ও গুমের মামলা নং ১৮ দায়ের করেন। দশ বছর আগে তাদের বিয়ে হয় এবং সংসারে এক পুত্র- দুই কন্যা রয়েছে।

মামলার আইও সেনবাগ থানার এসআই বেলায়েত হোসেন বলেন, খাজুরিয়ার রায়হান ও নাসিমার নেতৃত্বে গত একমাস আগে চট্রগ্রামের চাদগাঁও এলাকার বরিশাইল্যা বাজার বক্কর বিল্ডিংএর ভাড়া বাসায় লুকিয়ে রেখে স্বামী এমদাদ কে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে কোর্টের আদেশে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গৃহবধু মাহমুদাকে জীবিত উদ্বার করেছি। বর্তমানে মাহমুদা থানা হাজতে রয়েছে।

সেনবাগ থানার ওসি হারুন অর রশিদ চৌধুরী ভিকটিম মাহমুদাকে উদ্বারের বিষয়টি আলোচিত এ ঘটনায় ভিকটিম কে জীবিত উদ্বার করে মিথ্যা নাটকের অবসান হয়েছে।

উল্যেখ্য, এমদাদ - মাহমুদার ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে জুলাই /২০০৮ সালে বিয়ে হয় তাদের। আবু হোরায়রা (৮) হুমায়রা (৫) ও হাসিবা (২) নামে তিনটি সন্তান রয়েছে তাদের। স্ত্রী মাহমুদার পরকীয়া ও স্বামী সন্তান এবং বৃদ্ব মাকে মারধর করার কারনে তাদের দাম্পত্যজীবনে আসে অন্ধকার। শালিশদরবার হয়েছে কয়েকবার। মার্চ/১৭ ইং মাহমুদা খাজুরিয়া থেকে পিতার বাড়ী কালারাইতায় সন্তানদের ত্যাগ করে চলে যায়। এর জের ধরে স্বামী এমদাদ গত ৩ জুলাই/১৭ ইং আদালতের মাধ্যমে মাহমুদাকে তালাকনামা পাঠান।

রায়হান, নাসিমার যোগসাজশে মাহমুদাকে লুকিয়ে রেখে ২৫ ফেব্রুয়ারি /১৮ ইং আদালতের নির্দেশে সেনবাগ থানায় হত্যা করে লাশ গুম করার দায়ে ৫ জনকে আসামী করে মামলা রুজু করা হয়। সেনবাগে আলোচিত খুন, গুমের ভিকটিম কে পুলিশ জীবিত উদ্বার করায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

এবিএন/ফিরোজ আলম ভূঞা রিগান/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত