![বাকৃবিতে ‘বাউ সয়েল টেস্টিং কিট’ উদ্ভাবন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/07/abnews-24.bbbbbbbbbbbbbbbbb_129075.jpg)
ময়মনসিংহ, ০৭ মার্চ, এবিনিউজ : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়(বাকৃবি) মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ মাঠ পর্যায়ে মৃত্তিকা নমুনা পরীক্ষার জন্য এ ‘বাউ সয়েল টেস্টিং কিট’ উদ্ভাবন করেছে যা আধুনিক ও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করে ফসলের সর্বোচ্চ ফলন প্রাপ্তির জন্য সুষম মাত্রার সার প্রণয়ন করা যাবে। “কাংঙ্খিত মাত্রার ফলন পাওয়ার জন্য যে সার যতটুকু দরকার শুধু সেই সমস্ত সার ততটুকু প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা ছাড়া জমিতে খাদ্যোপাদানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানা অসম্ভব।
ফসলের চাহিদা অনুযায়ী সার সুপারিশ করতে বাউ সয়েল টেস্টিং কিট ভূমিকা রাখবে। এই কিটের মাধ্যমে মাটির অম্লতা-ক্ষারকতা নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম নির্ণয় করে ফসলের জন্যসঠিক মাত্রার সার সুপারিশ প্রদান করা যাবে” বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়(বাকৃবি) মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশণ ও বেসরকারি সংস্থা এসিআই আয়োজিত ‘নগর আবর্জনা থেকে তৈরী কম্পোস্ট ও সয়েল টেস্টিং কিট এর উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
গতকাল মঙ্গলবার বাকৃবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন ভবনে এসময় ‘বাউ সয়েল টেস্টিং কিট’ এর শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশণের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা। প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মোঃ মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেকাপ এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহন্ত, বাকৃবি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মনোরঞ্জন দাস, বাকৃবি উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান এবং এসিআই এর বিজনেস ম্যানেজার বশির আহম্মেদ।
কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও প্রকল্পের অন্যতম গবেষক প্রফেসর ড. মোঃ জহির উদ্দিন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাকৃবি মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল আবেদীন। পরে বিষয়ের উপর শিক্ষকগণ, গবেষক ও আমন্ত্রিত অতিথিগণ উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মোঃ মজিবুর রহমান বলেন মাটি পরীক্ষা না করে বুঝা যাবে না কোন খাদ্যোপাদান মাটিতে কি পরিমান আছে এবং তা যে ফসল চাষ করা হবে, তার চাহিদা মেটাতে সক্ষম কি না।
এবিএন/মঈন উদ্দিন রায়হান/জসিম/তোহা