বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • আত্রাইয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে অনিয়মের অভিযোগ

আত্রাইয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে অনিয়মের অভিযোগ

আত্রাইয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে অনিয়মের অভিযোগ

আত্রাই (নওগাঁ), ০৮ মার্চ, এবিনিউজ : বর্তমান সরকার যেখানে দেশকে ডিজিটাল করার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি গ্রাম ও প্রতিটি বাড়িতে ভুর্তুকির মাধ্যমে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছেন। আর ঠিক তখনই এই সুযোগেই কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দলের নাম ভেঙে এই বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নাম করে গ্রামের অসহায়, গরীব ও অশিক্ষিত মানুষদের ধোকা দিয়ে অবৈধভাবে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। বছরের পর বছর এই প্রতারকরা এই সব অসহায় মানুষদের মিথ্যে বাহানা দিয়ে আসছে।

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রায় দেড় বছর আগে টাকা দিলেও এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি গ্রামবাসীরা। বিষয়টি দেখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিকাপুর ও হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের কিছু অংশ নন্দনালী গ্রামে ১০৫টি পরিবার। এসব পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে নন্দনালী গ্রামের চয়েন উদ্দিন মাস্টার, আত্রাই ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সমিতির সভাপতি ইলেট্রিশিয়ান মেজর আলী (ম্যাজো) ও সাবেক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক আজিজুর রহমান পলাশ প্রায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে ১০ হাজার থেকে সাড়ে ১১ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য ভুক্তভোগীরা গরু, ছাগল বিক্রি ও বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকেও টাকা উত্তোলন করেছে। নন্দনালী গ্রামের দিনমজুর আবুল হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য গরু বিক্রি করে ১০ হাজার ৫০০ টাকা চয়েন উদ্দিন মাস্টারের হাতে দেন। কিন্তু দেড় বছর পার হয়ে গেলেও বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পাইনি। এখন টাকা ফেরৎ চেয়েও পাচ্ছি না।

একই গ্রামের দিলিপ কুমার পাল, জিয়ারুল, আতাউর, মোবারক, কামাল, রফিকুল, রুহুল, করিম, ফরহাদ, ধীরেন পালসহ ২০/২৫ জন বলেন, বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য কষ্টে জমানো টাকা ও বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে টাকা উত্তোলন করে দেয়া হয়েছিল। টাকা নেয়ার সময় তাদের কত তোড়জোড় ছিল। মনে হয়েছিল কালই বিদ্যুৎ চলে আসবে। টাকা নেয়ার পর আর তাদের দেখা নেই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চয়েন উদ্দিন মাস্টার বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার ব্যবস্থা করে দিতে গ্রামবাসীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। বিদ্যুৎ সংযোগ খরচ, জামানত ও ঠিকাদারের কাজ করতে গিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাকি টাকা সদস্য ফি, মিটার জামানত, সিএমও বাবদ খরচ করা হয়েছে।

আত্রাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিরি সাবেক পরিচালক আজিজুর রহমান পলাশ বলেন, আমি ২০১৫-২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলাম। ঘটনার মূল হোতা চয়েন উদ্দিন মাস্টার। বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নাম করে আমাদের নাম বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে সে আত্মসাৎ করেছে। টাকা দিয়ে উপজেলার বান্দাইখাঁড়া বাজারে দোকান দিয়েছে। এ

লাকাবাসীরা তাকে চাপ সৃষ্টি করায় এখন বিভিন্ন জনের নাম বলছে। এ নিয়ে টাকা ফেরত দিতে চয়েন উদ্দিন মাস্টারের সঙ্গে কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

আত্রাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম ফিরোজ জামান বলেন, নন্দনালী গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো কাগজপত্র বা সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন অফিসে জমা হয়নি। এলাকাবাসীরা দালালের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন। আর অফিস এটার সঙ্গে জড়িত নয়।

এবিএন/রুহুল আমিন/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত