নীলফামারী, ০৯ মার্চ, এবিনিউজ : বাইপাস সড়ক না থাকার কারনে প্রতিনিয়ত যানজটে পরতে হচ্ছে ডোমারবাসীকে। যানজটের কবলে পরে ঘন্টার পর ঘন্টা সময়ের অপচয়ের সাথে সাথে নিদারুন কষ্টও পোহাতে হচ্ছে তাদের।
তাছাড়া নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিদিন শত শত ১০ চাকার যানবাহন পঞ্চগড়-ডোমার সড়কে চলাচল করায় যানজটের সৃষ্টি করছে। সকাল থেকে রাত অবধি যানজটের কারনে ডোমারবাসীকে নানা ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় ডোমার-দেবীগঞ্জের একমাত্র প্রাণ সড়কটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার ভারী যানবাহন চলাচল করছে।
আর এইসব বাহন কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চলাচল করায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অটোরিক্সা,অটোভ্যান ও যানবাহনের নির্ধারিত স্থান থাকার পরও রাস্তায় সেইসব বাহন দাঁড় করে রাখায় যানজট সৃষ্টি হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে আছে। যানজটের কারণে ছাত্র/ছাত্রীদের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পরতে হয় অসুস্ত্য রোগীদেরও। যানজটের কবলে পরে ঘন্টার পর ঘন্টা রোগী নিয়ে এ্যাম্বুলেন্সকে দাড়িয়ে থাকতে হয়। শুভ একজন ছোট ব্যবসায়ী।
ডোমার শহরের প্রানকেন্দ্রে রয়েছে তার তার দোকান। প্রতিদিন সকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসার সময় পরতে হয় যানজটে। ৫ মিনিটের পথ আসতে সময় লাগে ২০ মিনিট। অপরদিকে নবম শ্রেণির ছাত্রী বর্ষা প্রতিদিন সকালে স্কুলে আসেন। তবে নয়টার পর আসলেই যানজটের মধ্যে পরে দেরিতে যেতে হয় স্কুল। স্যাররা স্কুলে দেরী করে আসার জন্য রাগ করলেও কিছু করার থাকে না। শুধু শুভ আর বর্ষা নয় এভাবে প্রতিনিয়ত যানজটের শিকার হয় হাজার হাজার ডোমারবাসী।
সকাল ৯টা থেকে ১১টা আবার দেড়টা থেকে আড়াইটা ও সন্ধা থেকে রাত আটটা অবধি যানজটের কবলে পরতে হয়। যানজট নিয়ন্ত্রণে থানা কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালিয়ে গেলে তারাও হিমশিম খাচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণে। যানজটের ফলে ডোমার শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ব্যবসা প্রতিষ্টানগুলোতে বিক্রি কমে গেছে। যানজটের কারণে বিভিন্ন এলাকার মানুষজন এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে না এসে বিকল্প জায়গায় যেয়ে খরচ করছে। ফলে এসব দোকানে মন্দা দেখা দিয়েছে।
থানাপাড়া থেকে শুরু করে প্রায় আধা কিলোমিটার অবধি যানজট ডোমারবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী। তাছাড়া যেখানে সেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাল লোড-আনলোড করার কারণেও যানজট বেড়ে যাচ্ছে।যানজটের কবলে পরে অনেক অসুস্থ্য ব্যক্তি আরো বেশি করে অসুস্থ্য হয়ে পরছে। পৌর কর্তৃপক্ষ যানজট নিরসনে সচেতনা মুলক মাইকিং এবং লোড-আনলোডের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছেনা কোন ব্যবসায়ী।
রাসেল আহমেদ নামে এক স্কুল শিক্ষক জানান, যানজটের কবলে পরে প্রতিনিয়ত তাদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। যানজটের পাশাপাশি শব্দ দূষণের কবলেও পরতে হচ্ছে ডোমারবাসীকে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যানবাহনের ড্রাইভাররা সব সময় হর্ণ বাজিয়ে শব্দ দূষণ করে চললেও পৌর কৃর্তপক্ষ নিশ্চুপ রয়েছে।
শব্দদূষণের কারণে শিশু আর বৃদ্ধদের কানের সমস্যায় পরতে হচ্ছে নিয়মিত। উচ্চস্বরে হর্ণের কারণে পথচারীসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অসুবিধার সৃষ্টি হলেও দেখার কেউ নেই। অথচ শব্দ দূষণ আর মাইকিংয়ের নীতিমালা থাকলেও তা মানছেনা কেউ। পৌরসভায় মাইকিংয়ের নির্দিষ্ট সময় থাকলেও তা কেউ আমলে নেয়না। ফলে প্রতিনিয়ত শব্দ দূষণের কবলে পরতে হচ্ছে ডোমারবাসীকে।
এবিএন/আব্দুল্লাহ আল মামুন/জসিম/এমসি