![পটিয়ার ধলঘাটে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিশুদের পাঠদান](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/09/school_abnews_129453.jpg)
পটিয়া (চট্টগ্রাম), ০৯ মার্চ, এবিনিউজ : পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের আলমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করছে কোমলমতি শিশুরা। যে কোনো সময় বিদ্যালয়ের দেওয়াল ধ্বসে ও গ্রেডবীম ভেঙে পড়ে প্রাণহানীসহ বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে শতাধিক শিশু।
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে স্থানীয় প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অধীনে ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮শত ২৫ টাকা ব্যায়ে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা একটি ভবণ নির্মাণ করা হয়। গত ২ বছর যাবৎ ভবনটির দুইটি কক্ষে গ্রেডবীম ও দেওয়ালের ফাটল সৃষ্টি হয়। এই গ্রেডবীম দেওয়ালে ফাটল সৃষ্টির কারণে বর্ষার সময় বৃষ্টির পানি শ্রেণি কক্ষে পরে পাঠদানের ব্যাঘাত ঘটে।
এছাড়া বিদ্যালয়ের ফাটল দ্বারা যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পাড়ে কোমলমতি শিশুরা। গত বছর নতুন ভবনটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আবেদন করলেও এখনও কোন ভবন পায়নি বিদ্যালয়টি। তাই আলমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন একটি ভবন দিয়ে কোমলমতি শিশুদের লেখপাড়া নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় এমপি সামশুল হক চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ।
সরেজমিনে আলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের উপরে গ্রেডবীমের ফাটল সৃষ্টি হয়। এছাড়া বিদ্যালয়ের সামনে ও পিছনের দেওয়ালে দেখা যায়। ৫ম শ্রেণির ছাত্রী রুমি পাল বলেন, বর্ষাকাল আসলে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে বিভিন্ন স্থানে পানি পরে। এছাড়া বর্তমানে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে গ্রেডবীম ও দেওয়ালে ফাটল সৃষ্টি হয়। যেকোন মুর্হুতে দেওয়াল ধসে পরে বড় ধরণের দূর্ঘটনা হতে পারে। এই ঝুকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করতে আমার বিষম ভয় করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুমিতা চক্রবর্ত্তী জানান, গত ২ বছরে দরে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বিদ্যালয়ের গ্রেডবীম ও দেওয়াল ফাটলের বিষয়ে জানানো হইলেও আমরা এ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে নতুন করে কোন ভবন পায় নাই। গত বর্ষাকালে বৃষ্টির পানির পরে শ্রেণি কক্ষে বেঞ্চসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যায়। অচিরে যদি নতুন একটি ভবন না পায় তাহলে আগামী বর্ষার মৌসুমে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে ব্যাপক সমস্যা হবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও ইউপি সদস্য চন্দন দে জানান, বিদ্যালয়ের গ্রেডবীম ও দেওয়ালে ফাটল ধরে বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝরার্ঝীণ হয়ে যায়। যে কোনো সময় দেওয়াল ধ্বসে ও গ্রেডবীম ভেঙে পড়ে প্রাণহানিসহ বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে বিদ্যালয়ের ১শ’ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
এবিএন/সেলিম চৌধুরী/জসিম/এমসি