
লক্ষ্মীপুর, ১০ মার্চ, এবিনিউজ : লক্ষ্মীপুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে হারুন বাহিনী কর্তৃক নিরীহ পরিবারের উপর হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করার খবর পাওয়া গেছে। এসময় হামলায় নারীসহ আহত হয়েছেন ৭ জন।
জানা গেছে, রায়পুর উপজেলার ২নং চরবংশী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বেপারী বাড়ীতে রাতের আধাঁরে হারুন ও তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বশির ব্যাপারীর পুকুরে জোরপূর্বক মাছ ধরতে যায়। এতে বশির ব্যাপারী খবর পেয়ে বাধা দিলে হারুন ক্ষিপ্ত হয়ে ২০-২৫ জনের বাহিনী নিয়ে বশির ও তার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ঘরের আসবাব পত্র ভাঙ্গচুর ও ঘরে থাকা নগদ ৭০ হাজার টাকা এবং ৬ আনা ওজনের সোনার চেইন নিয়ে যায়। ঘরে থাকা লেপতোশক ও খাদ্যদব্য পাশের খালে ফেলে দেয়।
হামলার এক পর্যায়ে বশির ব্যাপারী (৬০) তহির ব্যাপারী (৭০) জয়নাল আহম্মেদ (৩২) শাহেদা বেগম (৩০) সপ্না বেগম (২৩) ইব্রাহিম (২৪) রানী বেগম (৩৫) কে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। শুধু তাই নয় হত্যার উদ্দেশ্যে হারুন ক্ষিপ্ত হয়ে বশির ব্যাপারির ডান পায়ে টেঁটা মারে। রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন, অন্যান্যদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত থাকলেও বশির ব্যাপারীর অবস্থা গুরতর। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ওসমান (২৫) মাওলানা মোছলেহ উদ্দিন ও মোশারফ্ফ হায়দার মোহন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মূলত রাতের আধারে চিৎকার শুনে আমরা ভয়ে ছিলাম এক পর্যায় ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি হারুন বাহিনীর অতর্কিত হামলায় ঘর সহ ঘরের আসবাব পত্র চত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে রয়েছে। এবং রক্তাক্ত অবস্থায় বশির ব্যাপারী সহ ৫-৬জন পড়ে আছে মাটিতে। পরবর্তীতে আমরা সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে তাদের রায়পুর সরকারী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলমগীর হোসেন জানান, আমি রাতেই ভাংচুরের খবর পেয়েছি। আমার চকিদারের কাছ বিস্তারিত শুনেছি এবং খোঁজ খবর নিয়েছি, ঘটনা সত্য।
এদিকে অভিযুক্ত হারুনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে হামলার শিকার শাহেদা বেগম জানান।
এবিএন/আবীর আকাশ/জসিম/এমসি