বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি বাংলাদেশকে কী দেবে?

উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি বাংলাদেশকে কী দেবে?

ঢাকা, ১২ মার্চ, এবিনিউজ : বিশ্বের কোনো দেশ অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে কতটা অগ্রগতি করেছে সেটি মূল্যায়নের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদের উন্নয়ন নীতিবিষয়ক কমিটি বা সিডিপি আজ নিউইয়র্কে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।

এ বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে আসার স্বীকৃতি মিলবে বলে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন।

কিন্তু এই স্বীকৃতির ফলে কী লাভ হবে বাংলাদেশের? অর্থনীতিবিদ ড. আহসান মনসুর বলেন, বিষয়টি কোনো দেশের জন্য গৌরবের। জাতি হিসেবে সবাই চায় নিজেদের মর্যাদা ও গৌরব প্রতিষ্ঠিত করতে। তবে, এর বস্তুগত কোনো উন্নয়ন বা সুবিধা আলাদা করে বাংলাদেশ পাবে বলে তিনি মনে করেন না। কিন্তু এ স্বীকৃতি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সম্মানিত করবে।

স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য তিনটি সূচক বিবেচনা করা হয়। তিন বছরের গড় মাথাপিছু জাতীয় আয়, মানবসম্পদ সূচক, যাতে পুষ্টি, স্বাস্থ্য, স্কুলে ভর্তি ও শিক্ষার হারের সমন্বয়ে তৈরি হয়, এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক, যেটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক আঘাত, জনসংখ্যার পরিমাণ এবং বিশ্ববাজার থেকে একটি দেশের দূরত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।

কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রতিটিতে বাংলাদেশ অগ্রগতি করেছে।

যদিও ড. মনসুর বলছেন, এ স্বীকৃতি পাবার জন্য বাংলাদেশের লম্বা সময় লেগেছে। স্বাধীনতার পর ৪৭ বছর পেরিয়ে গেছে।

কিন্তু ড. মনসুর বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাথমিক অবস্থা অত্যন্ত প্রতিকূল ছিল। তা ছাড়া গত ১০-১৫ বছরে উন্নয়নের ধারা যেমন অব্যাহত ছিল, সেটি যদি আরও আগে শুরু হত, তা হলে বাংলাদেশ এ স্বীকৃতি আগেই পেতে পারত।

জাতিসংঘের এ কমিটি প্রতি ৩ বছর পরপর বৈঠকে বসে। একটি বিশেষজ্ঞ টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাবার পর যে কোনো দেশের মূল্যায়ন হয়। ২০২১ সালে এ বিষয়ে প্রথম রিভিউ হবে, বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে তা অর্জনকে কতটা সুদৃঢ় করেছে, এর পর ২০২৪ সালে আরেকটি মূল্যায়ন হবে।

এই দুটি পর্যালোচনায় উতরে গেলে ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তখন প্রস্তাব করা হবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্থায়ী স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য।

বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ রফতানিসহ বিভিন্ন খাতে অর্থনৈতিক সুবিধা পায়। যেমন তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পায় বাংলাদেশ, যেটি বাংলাদেশের প্রধান রফতানি আয়ের সংস্থান করে।

নতুন স্বীকৃতির ফলে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে পাওয়া সেসব সুবিধা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কাও করেন অনেকে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত