মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • লালমনিরহাটে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

লালমনিরহাটে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

লালমনিরহাটে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

লালমনিরহাট, ১৩ মার্চ, এবিনিউজ : লালমনিরহাটে ওএমএস কর্মসূচির চাল ও আটা বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা ট্যাগ কর্মকর্তা উপস্থিত থাকার নিয়ম থাকলে তারা উপস্থিত থাকছে না।

এ সুযোগে কতিপয় ডিলার ভুয়া টিপসইয়ের মাধ্যমে মাষ্টার রোল তৈরী করে নাম মাত্র চাল ও আটা খোলা বাজারে বিক্রি করে বাকি গুলো রাতের আধারে কালো বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। ফলে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি আটা ১৭ টাকা দরে ক্রয় করতে পাচ্ছে না নি¤œ ও মধ্য আয়ের লোকজন।

অথচ নিয়ম মতে, খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা তাদের নিযুক্ত ট্যাগ কর্মকর্তাগণ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আটা ও চাল বিক্রি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিক্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১২ জন ডিলার ৬টি কেন্দ্রে সম্বয়ন করে প্রতি কেন্দ্র প্রতিদিন ৮৩৩ কেজি করে চাল ও আটা বিক্রি করছে। চলতি বছরের গতকাল সোমবার আটা ও গত ৩ মার্চ চাল বিক্রি শুরু হয়েছে।

সদর উপজেলার কলেজ বাজার এলাকায় ওএমএস বিক্রয় কেন্দ্রে গতকাল সোমবার গিয়ে দেখা যায়, দায়িত্বে থাকা তদারকি কর্মকর্তা ফণি ভূষণ উপস্থিত ছিলেন না। তার উপস্থিতির বিষয়ে বিক্রয় কেন্দ্রের লোকদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, তিনি নামাজ পড়তে গেছেন। অথচ তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী।

এ ছাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার বিক্রয় কেন্দ্রে কখনোই দেখা পাওয়া যায়নি দায়িত্বে থাকা তদারকি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম রিপনকে। পুরান বাজার কালীবাড়ী এলাকার বিক্রয় কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা তদারকি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ডেলা উপস্থিত থাকার কথা থাকলে লোকবল সংকট থাকার অজুহাতে অধিকাংশ সময় অফিসেই থাকেন তিনি। ফলে ডিলারদের তত্ত্বাবধানে চলে বিক্রয় কেন্দ্রটি। একই অবস্থা সদর উপজেলার বাকি ওএমএস কেন্দ্রেও।

এ দিকে বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা তদারকি কর্মকর্তাদের অনুপস্থিত থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একাধিক ডিলার প্রতিনিয়ত অনিয়ম করে যাচ্ছেন। বিক্রয় কেন্দ্রে ৮৩৩ কেজি করে আটা ও চাল প্রতিদিন বিক্রি করার কথা থাকলেও কেন্দ্র গুলোতে বাস্তবে সর্বোচ্চ আটা ও চাল আনা হয় ৫০০ কেজি করে। তবে ভুয়া মাষ্টার রোল তৈরী করে কাগজ-কলমে ৮৩৩ কেজি চাল ও আটা বিক্রি দেখানো হচ্ছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ওএমএস ডিলারগণ জানান, তারা নিয়মিত চাল ও আটা ৮৩৩ কেজি করেই বিক্রি করছেন।

লালমনিরহাট জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুস সালাম মিয়া জানান, অনিয়মের বিষয়ে অনেককে সাবধান করে দিয়েছেন। তারপরও অনিয়মের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত