![নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সদরপুরে জাটকা নিধন অব্যাহত](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/13/jatka_abnews_130122.jpg)
সদরপুর (ফরিদপুর), ১৩ মার্চ, এবিনিউজ : ফরিদপুরের সদরপুরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ দুটি নদে জাটকা ইলিশ নিধনে জেলেদের চলছে এখন মহোৎসব।
প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার পর ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি সাইজের ইলিশের পোনাগুলো যখন পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদে তাদের শারীরিক গঠন বৃদ্দিতে আসে তখন অসাধু মৎস্য শিকারি দিয়ে এ মাছগুলো শিকার করছে ফড়িয়া মহাজনদের অধীনে থাকা জেলেরা।
প্রতিদিন বাজারে মন মন জাটকা বেচাকেনা প্রকাশ্যেই চলছে। সদরপুর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তৎপরতা না থাকার কারনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিনিয়ত জাটকা নিধন করে যাচ্ছে এলাকার জেলেসহ অন্যত্র জেলার জেলেরা।
দুটি নদ থেকে নিধনকৃত জাটকা উপজেলার চরবলাশিয়া,সদরপুর বাজার,চন্দ্রপাড়া বাজার,মনিকোঠা বাজার, পিয়াজখালী বাজার, চরবলাশিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় সকাল বিকেল প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।
পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদের, চন্দ্রপাড়া লঞ্চঘাট, শয়তানখালী, আকোটেরচর, নন্দলালপুর, চরনাসিরপুর ইউনিয়নের ইব্রাহীম মুন্সীর কান্দি, চেরাগ আলী মুন্সীর কান্দি, ছোটকোলপাড়, জঙ্গী কান্দি,কাড়ালকান্দি,মোল্যা কান্দি ও দিয়ারা ইউনিয়নের চর হকিয়তপুর, হাওলাদার কান্দি, আইন উদ্দিন শিকদার কান্দি, উকিল কান্দি, মোবারেক মুন্সীর কান্দি এলাকা গুলোতে অসাধু জেলেদের জালে অবাধে জাটকা ধরার অভিযোগ উঠেছে।
কয়েক মাস থেকেই সকাল বিকাল ওই সব অঞ্চলে প্রতিযোগিতা করে জেলেরা অবৈধ কারেন্টজাল, বেড় জাল দিয়ে মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় নামছে নদে। মৎস্য শিকারের জন্য প্রস্তুুতি নেয়া কালে কাছ থেকে ছবি তুলতে গেলেও জেলেদের মাঝে কোনো ভয় বা বিচলিত হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়নি। নদ পাড়ের জেলে, সোনাই মাতুব্বর (৩৫), ধলা শিকারী (৪০), আমজাদ শেখ (৪৪), কলি আকন (১৮) জানান, প্রতিদিন সকাল বিকালে জেলেরা নদীতে জাটকা ধরে। জাটকা বন্ধ আছে কিনা আমরা জানিনা। বন্ধ থাকলে নদীতে সরকারি লোকজন আসতো। ইলিশ ধরার সময় নদীতে যেমন ম্যাজিট্রেট আসতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলেরা জানান, আমাদের জীবিকার প্রধান উৎস মাছ ধরা। নদীতে আমরা সারা বছর বিভিন্ন প্রকার মাছ শিকার করে থাকি। অন্য কর্মের সাথে আমরা সম্পৃক্ত না যে কারনে আমরা মাছের উপর খোরাক নির্ভর করি। জাটকা ধরেন কেনো প্রশ্নে তারা জানান এখন নদীতে জাটকা বেশী মিলে তাই ধরি। তারা আরও জানান এখানে পাবনা,লক্ষিপুরের জেলেদের ভাড়া করে এনে বড় বড় জাল দিয়েও তারা জাটকা শিকার করে আমরা অল্পই মারি। মাস খানেক পূর্বে সদরপুর উপজেলার পিয়াজখালী বাজার থেকে জাটকা বিক্রির দায়ে আটক করে জরিমানা করেছিল এক জেলেকে। ওই সময় অন্য বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গিয়েছিল।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা আক্তার পান্না জানান, আগামী সপ্তাহে অভিযানে নামবো। অভিযানের ব্যাপারে ইউএনও স্যারের সাথে কথা হয়েছে। এছাড়াও আমি অসুস্থ রয়েছি।
এবিএন/সাব্বির হাসান/জসিম/এমসি