
উলিপুর (কুড়িগ্রাম), ১৩ মার্চ এবিনিউজ : ১০ টাকা কেজি দরের প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজির চালের বস্তা প্রতি ২০ টাকা বেশি নিয়ে সুবিধাভোগিদের কিনতে বাধ্য করছে এক ডিলার। এছাড়াও নি¤œমানের চাল রিপ্যাকিং করে ওজনে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, জেলার উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে। ভূক্তভোগি হত-দরিদ্ররা অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ঘটনাটি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানানোর সময় দুর্নীতিবাজ ঐ ডিলার তাদের নানা ভাবে হুমকী প্রদান করেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা গেছে , উলিপুর উপজেলার ঐ ইউপি’র তালিকাভূক্ত ডিলার আব্বাস আলী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫’শ ৫৯ জন সুবিধাভোগির মার্চ মাসের নির্ধারিত বরাদ্দের চাল খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করে নিয়ে যান। অভিযোগ উঠেছে ধুরন্ধর প্রকৃতির ঐ ডিলার অত্যন্ত গোপনে উত্তোলনকৃত উন্নতমানের চাল স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে অতি নিম্নমানের চাল বুড়াবুড়ি বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মজুদ করে। এরপর গত রোববার রাতে এসব চাল ৩০ কেজির স্থলে ২৮ কেজি করে বস্তায় ভর্তি করে তার নিজস্ব সেলাই মেশিন দিয়ে বস্তার মুখ বন্ধ করে।
গতকাল সোমবার এসব চাল তালিকা ভূক্ত সুবিধাভোগিদের মাঝে প্রতি বস্তা ৩’শ টাকার পরিবর্তে ৩’শ ২০ টাকা নিয়ে কিনতে বাধ্য করে। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে চাল কেনার পর ওজনে দেড় থেকে দুই কেজি কম এবং এসব চাল অতি নিম্নমানের হওয়ায় তাদের চক্ষুচরক গাছ হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় অনেকে এর প্রতিবাদে সোচ্ছার হয়। গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকরা ঘটনা স্থলে গেলে বিতরনকৃত চাল নিম্নমানের, প্রতি বস্তায় ২০ টাকা বেশি গ্রহণ ও ওজনে কম দেয়ার বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন।
সুবিধাভোগি রেনোকা, মাসুদ, আইয়ুব আলী,আক্কাস আলী,কার্ডধারী রফিকুলের মা করিমন, কার্ডধারী শাহ আলমের স্ত্রী আলেনুনসহ আরো অনেকে ডিলারের উপস্থিতিতে এ দূর্নীতির বর্ননা দিলে ঐ ডিলার তাদের ভয়ভীতি দেখান। এসব উপকারভোগি অভিযোগ করে বলেন, ডিলার ইতিপূর্বেও তাদেরকে নিম্ন মানের চাল ও ওজনে কম দেন। চাল বিতরনকালে তদারকি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্যা হিল কাফি উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও বিতরণ কালে তাকে পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধেও ডিলারের সাথে যোগসাজসের অভিযোগ রয়েছে।
বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ছক্কু মিয়া ডিলারের জনপ্রতি ২০ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি তাকে নিষেধ করলেও সে শোনেনি। অভিযুক্ত ডিলার আব্বাস আলী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানার পর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছি।
এবিএন/আব্দুল মালেক/জসিম/তোহা