![তদন্তকারি দলকে স্বাক্ষ্য দেয়ায় কার্ডধারীর স্বামীকে প্রহার](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/17/abnews-24.b_130776.jpg)
উলিপুর (কুড়িগ্রাম), ১৭ মার্চ, এবিনিউজ : কুড়িগ্রামের উলিপুরে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তটিমের সামনে স্বাক্ষ্য দেয়ার অপরাধে দুর্নীতিবাজ ডিলার কার্ডধারীর স্বামীকে বেদম প্রহার করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন কার্ডধারীকে স্বাক্ষ্য না দেয়ার জন্য হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। ঘটনা জানিজানি হওয়ার পর এলাকায় তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। গত সোমবার জেলার উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের নির্ধারিত ডিলার আব্বাছ আলী চাল বিতরণ কালে বস্তা প্রতি অতিরিক্ত ২০ টাকা আদায়, নিম্নমানের চাল ও রিপ্যাকিং করে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগিরা।
বিষয়টি অনলাইন পত্রিকা এবিনিউজ ২৪.কম, স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত বহস্পতিবার ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ঐদিন বিকেলে তদন্ত টীম ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। তারা ঐ ইউনিয়নের নয়া গ্রামে জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে উপস্থিত হয়ে অভিযোগকারিদের কাছ থেকে স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ সময় হত-দরিদ্র কার্ডধারী সুবিধাভোগি রেনোকা বেগমসহ উপস্থিত সকলে ৩০ কেজি চালের মূল্য ৩’শ টাকার স্থলে ৩’শ ২০ টাকা আদায়, নিম্নমানের চাল প্রদান ও ওজনে কম দেয়ার বিষয়টি তদন্তকারি দলকে লিখিত ভাবে জানান।
এ খবর পেয়ে অভিযুক্ত ডিলার আব্বাস আলী ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে রেনোকার বাড়িতে যায়। সেখানে তাকে না পেয়ে পার্শ্বের এক বাড়িতে গিয়ে রেনোকার স্বামী আব্দুল জলিলকে পায় এবং সে তাকে সেখানে বলে ‘গতকাল আমি বললাম তদন্ত দল আসলে তোমার স্ত্রী যেন কিছু না বলে’। এরপরও তোমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য দেয় এত বড় সাহস পায় কোথায়’। একথা বলার পর দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হলে এক পর্যায়ে আব্বাস আলী তার স্বামীকে বেদম মারপিট করে। এ সময় হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। ঐদিনই বিকালে ঘটনাটি সাংবাদিকদের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন বলে রেনোকা জানান।
ঐ ডিলারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির সুনিদৃষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা খাদ্য বিভাগের ইন্সপেক্টর ফজলুল হক, আব্দুল কাদের বক্সী ও সাব-ইন্সপেক্টর হারুন-অর-রশিদের সম্বয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ঐ দিনই তদন্তকারি দল ঘটনা স্থলে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
এ ব্যাপারে ইন্সপেক্টর ফজলুল হকের সাথে কথা হলে তিনি তদন্ত কার্যক্রমের কথা স্বীকার করে বলেন, আগামী রোববার তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রদান করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি রোববার তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান।
এবিএন/আব্দুল মালেক/জসিম/তোহা