বাউফল(পটুয়াখালী), ১৮ মার্চ, এবিনিউজ : পটুয়াখালীর বাউফলের চর রায়সাহেব, মমিনপুর, চরওয়াডেল ও কচ্ছবিয়াসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে চাষিদের মাঝে তরমুজ চাষের আগ্রহ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নায্য মূল্য না পাওয়ায় ধান চাষে ক্রমাগত লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদেরকে।
অপরদিকে অল্প খরচে বেশী ফলনে তরমুজ চাষে অধিক লাভবান হওয়ায় যাচ্ছে। তাই কৃষকদের মাঝে এ আগ্রহ প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা গেছে চরকচ্ছপিয়ার তরমুজ চাষি বাকলা তাঁতেরকাঠি গ্রামের ফিরোজ চৌধুরী জানান, ধান চাষে এখন আর লাভের নিশ্চয়তা নেই। জলবায়ু পরিবর্তণের কারণে দিন দিন কৃষিতে বিপদ-আপদ বাড়ছে তাই তিনি এ বছর চর কচ্ছবিয়ায় মোট ১৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন।
এখন তরমুজ চাষের ভর মৌসুম। গাছ বাইতে শুরু করেছে।এ সময় রিং করে তরমুজের মাদায় সার-ওসুধ দেওয়া ও পরিচর্চা করার সময়। রোগ-বালাই, অতিজোয়ার কিংবা শীলা-বৃষ্টির মতো বৈরী আবহাওয়া না হলে তরমুজের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, চর ওয়াডেলে পাশের জেলা ভোলা থেকে এসেও কয়েক চাষি তরমুজ চাষ করছেন। এর কারণ জানতে চাইলে ওই জেলার চরকলমির চাষি বাবুল খা জানান ভিন্ন কথা।
তিনি বলেন, অতিজোয়ার আর লবন পানির হানার কারণে ও একই জমিতে বারবার কীটনাশক আর সার-ওষুধ ব্যাবহারে ওই এলাকার জমিতে আগের মতো এখন আর তরমুজের ভাল ফলন মেলে না। তাই তিনি তার ১০/১২ বছরের অভিজ্ঞতা খাটিয়ে এ বছর চর ওয়াডেলে প্রায় ১০ একর জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাউফলের বিভিন্ন চরে এ বছর ১২৫ হেক্টরে তরমুজ চাষ হয়েছে। বোরো আবাদ বৃদ্ধি আর অতিজোয়ারের কারণে ক্ষেত শুকাতে বিলম্ব হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা কমেছে । তবে মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে এই লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে তরমুজের আবাদ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরাফাত সানি বলেন, তরমুজ চাষিদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। চাষিদের কোন রকমের সমস্যার কথা শুনলেই অফিসের লোকজন মাঠে ছুটে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আশা করি চাষিরা এবার তরমুজের বাম্পার ফলন পাবেন।
এবিএন/মোঃদেলোয়ারহোসেন/জসিম/নির্ঝর