মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
logo

অটোয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস এবং জাতীয় শিশু দিবস পালিত

অটোয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস এবং জাতীয় শিশু দিবস পালিত

ঢাকা, ১৮ মার্চ, এবিনিউজ : গত ১৭ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কানাডার রাজধানী অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিবস এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০১৮ উদযাপন করে।

দুই পর্বের আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা। বয়সভিত্তিক দুটি বিভাগে শিশু কিশোরেরা ক্যাণভাসে তুলির আঁচরে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ’ শীর্ষক বিষয়বস্তু ফুটিয়ে তোলে। এছাড়াও ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ বিষয়বস্তুর উপর রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন- মারুফ হাসান সাকি, মৈত্রী ইলিয়াস, মর্ম ইলিয়াস, উমায়মা আহমেদ, যুবায়দা যারা, মানহা মহসীণ, মেহরাজ ফেরদৌস টোকী, সারাহ মাহমুদ, নাজিফ শাফি, নুসাইবা শাফি, লাবিবা তানাসসুম এবং আরিব সাইফুদ্দীন।অটোয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস এবং জাতীয় শিশু দিবস পালিতঅনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার জনাব মিজানুর রহমান। শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। পরে ঢাকা থেকে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এবং মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন, কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান আলাউদ্দিন ভূঁইয়া এবং প্রথম সচিব, মো. শাকিল মাহমুদ।

পরে হাইকমিশনার জনাব মিজানুর রহমান উপস্থিত শিশু কিশোরদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন এবং কর্মের উপর একটি মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের মধ্য থেকে অংশগ্রহণ করেন- জনাব সাইদ ইসলাম, হারুন রশিদ, কবির চৌধুরী, সিকদার মতিয়ার রহমান, অধ্যাপক ওমর সেলিম শের, মিসেস রাশেদা নেওায়াজ এবং ডঃ মঞ্জুর চৌধুরী। বক্তারা সকলেই বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা হিসাবে জাতি গঠনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।অটোয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস এবং জাতীয় শিশু দিবস পালিতসমাপনী বক্তব্যে জনাব মিজানুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বঙ্গবন্ধুর মানবিক গুণাবলীর আলোকে শিশু কিশোরদের জীবন গড়ে তোলার আহবান জানান। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের প্রাক্কালে জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতিদানের ঘোষণাকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের উপহার হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি জাতির জনকের জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবসের আনন্দঘন মুহূর্তে সকলকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের আলোকে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দুতাবাসের কাউন্সেলর, মিস ফারহানা আহমেদ চৌধুরী । শেষে আমন্ত্রিত অথিতিগণ হাইকমিশন আয়োজিত চা চক্রে অংশ গ্রহণ করেন।

এবিএন/মাইকেল/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত