শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • রানীগঞ্জ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ

রানীগঞ্জ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ

রানীগঞ্জ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ

সুনামগঞ্জ, ১৯ মার্চ, এবিনিউজ : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে রানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের শিক্ষার্থী বেতন ভাতাদি সহ বিভিন্ন খাত হতে প্রাপ্ত অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে হিসাবে জমা না করে নিজ হাতে রেখে ইচ্ছা মাফিক ব্যয় করার অভিযোগ উঠেছে।

এ সকল অনিয়মের ব্যাপার প্রধান শিক্ষকের সহিত আলাপ-আলোচনা করে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এমনকি আভিযোগকারীর সাথে অশালীন ব্যবহার করে অনাকাঙ্খিত বাক্য বিনিময় করে থাকেন তিনি।

সম্প্রতি এ ব্যাপারে ইসলামপুর গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে মুক্তার মিয়া জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষার্থীদের বেতন ভাতাদি সহ বিভিন্ন খাতের টাকা প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ এর নিকট জমা রেখে খেয়াল খুশীমত ব্যয় করে আসছেন।

ব্যাংক হতে টাকা উত্তোলনের জন্য অভিযোগকারী চেক উপস্থাপন করলে প্রধান শিক্ষক ব্যাংকের টাকা উত্তোলনের জন্য ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত কিংবা রেজুলেশনের প্রয়োজন নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন। এবং তিনি এও জানান যে, এ পর্যন্ত আমি এস এস সি পরীক্ষা সম্পর্কিত সম্মানী ভাতা পরিশোধের জন্য ৩৫ হাজার টাকার একটি চেক ব্যতীত অন্য কোন চেকে স্বাক্ষর প্রদান করিনি।

এ ছাড়া তিনি গত ২ বছরে আর্থিক আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়েও অদ্যবধি পর্যন্ত হিসাব ম্যানেজিং কমিটির সভার উপস্থাপন করেননি। অপরদিকে শিক্ষার্থীদের বেতন ভাতাদি, স্থানীয় দাতা ও সরকারি অনুদান মিলে বাৎসরিক প্রায় ১৫/২০ লক্ষ টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় অভিযোগে।

এরপরেও প্রধান শিক্ষক স্কুলের অনেক ঋণ রয়েছে মর্মে সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রচার-প্রচারনা করে যাচ্ছেন। তাছাড়া স্থানীয় দাতা/বিত্তশালীদের অনুদানে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এ স্কুলে একধিক পাকা ভবন নির্মাণ করা হলে ও এ সকল অনুদাকৃত অর্থের হিসাব এ পর্যন্ত কাউকে প্রদান করা হয়নি। কিংবা এ কার্যক্রমের সাথে ওয়ার্কিং কমিটিকে সম্পৃক্ত করা হয়নি।

এবং প্রধান শিক্ষক প্রায়ই কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমোদন কিংবা ছুটি গ্রহণ ব্যতিরেকেই স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। যার ফলে শিক্ষার্থীগণের দৈনন্দিন পাঠাদান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতার বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।

এবিএন/ অরুন চক্রবর্তী/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত