দৌলতপুর (কুষ্টিয়া), ১৯ মার্চ, এবিনিউজ : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সি.এন.জি চালক শামীমকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকয় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগে জানাযায়, গত ১০ মার্চ উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকার হাফিজুর মোল্লার ছেলে সি.এন.জি চালক শামীম মোল্লা (৪৩) ভেড়ামারা থেকে আসার পর বাড়ীর পাশে সি,এন,জি রেখে বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিল। এ সময় তার চাচাতো ভাই মৃত করেশ মোল্লার ছেলে আব্দুর রশিদ (৫০) ১৯ পিচ ইয়াবা একই এলাকার হাফুর ছেলে তারিখ (১৭) ও শফির ছেলে শাহিনুর (২০) কে দিয়ে বাড়ীর পিছনে রাখা সি,এন,জির ভিতরে রেখে দেয় এবং হোসেনবাদ পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গাড়ীটি তল্লাশী করে এবং নির্দিষ্ট ঐ জায়গা থেকে ১৯ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে। এ সময় ভয়ে শামীম পালিয়ে যায়। সিএনজি মালিক শামীম মোল্লা কে আসামী করে মামলা করে পুলিশ। এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানাযায়, সি.এন.জি চালক শামীম মোল্লা ও পুলিশের সোর্স নামে পরিচিত আব্দুর রশিদের মধ্যে অনেকদিন যাবৎ পারিবারিকভাবে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ লেগে আছে। এই বিরোধের কারনেই তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
এ ব্যাপারে শামীম মোল্লার স্বজনরা জানায়, শামীম নিরীহ খেটে খাওয়া মানুষ। তার সাথে পুলিশের সোর্স আব্দুর রশিদের অনেকদিন যাবৎ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরেই মাদকের মামালায় ফাঁসানো হয়েছে। অন্যদিকে সি.এন.জি’তে ইয়াবা রাখা আব্দুর রশিদের সহযোগীর স্বীকারোক্তি মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা থাকলেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এবিএন/জহুরুল হক/জসিম/তোহা