বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • বিজয়নগরে রাস্তা সংস্কারের ৩ মাসেই বেহাল অবস্তা

বিজয়নগরে রাস্তা সংস্কারের ৩ মাসেই বেহাল অবস্তা

বিজয়নগরে রাস্তা সংস্কারের ৩ মাসেই বেহাল অবস্তা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ১৯ মার্চ, এবিনিউজ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা চান্দুরা-সিঙ্গারবিল সড়ক। এ সড়টি ঢাকা সিলেট মহা-সড়কের চান্দুরা এলাকা থেকে সিঙ্গারবিল পর্যন্ত ১৭ কি: মি:। এ রাস্তাটি উপজেলার মেইন সড়ক হিসাবে চিহ্নিত। বর্তমান সময়ে এ রাস্তাটির অধিকাংশ স্থানে ভাঙ্গাচোরা ও খানা খদ্দরে ভরপুর রয়েছে। এ সড়ক দিয়ে উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মানুষ সহ পাশর্^বর্তী আখাউড়া এবং মাধবপুর উপজেলার সহ¯্রাধিক মানুষের পদচারণ হয় প্রতিদিন । ১৭ কি মি: রাস্তার মধ্যে একাধিক স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্ত, অধিকাংশ স্থানে আস্ত উঠে গেছে। রাস্তার মধ্যে খানা খদ্দরের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহনে চলছে ঝুঁকি নিয়ে। এতে করে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণ।

সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতিকালে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে। গত বছরের শেষ দিকে এই রাস্তার একটি টেন্ডার হয়ে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ করা হয়। চান্দুরা থেকে সিঙ্গারবিল পযর্ন্ত ১৭ কি:মি: রাস্তা সংস্কারের জন্য ২৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দের পর মের্সাস ইসলাম ট্রের্ডাস নামে একটি টিকাধারী প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়ে গত ২২ নভেম্বর ২০১৭ সালে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করেন। ১৭ কি:মি: রাস্তা প্রায় মাস ব্যাপী সংস্কারের কাজ করেন ঐ প্রতিষ্ঠান। তারপর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে সংস্কারের কাজ শেষ করেন ঐ টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজ শেষ হওয়ার মাস খানের মধ্যেই রাস্তাটি আবারও পুরনো রুপে রুপ নিয়েছে। এতে করে চান্দুরা থেকে সিঙ্গারবিল সড়কের একাধিক স্থানে খানা ,খদ্দর, ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চান্দুরা এলাকার রাস্তার মধ্যে অংশ থেকে আস্ত উঠে গেছে। আব্দুল্লাপুর এলাকায় একই অবস্থা, মির্জাপুর প্রবেশদ্বারে অনেক বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। পুরো রাস্তার মধ্যে অধিকাংশ স্থানে ভাংঙ্গনের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেরই প্রশ্ন। উন্নয়নের নামে এ কি কাজ করা হয়েছে? এ নিয়ে রয়েছে সাধারণ পথচারিদের মধ্যে নানা রকম মন্তব্য। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এ রোডের এক সিএনজি চালক বলেন, রাস্তা মেরামতের নাম দিয়ে জোড়াতালি দিয়েছে, কিছু দিন যাওয়ার পর পিচগুলো উঠে গেছে। এখনই এ অবস্থা, আর যদি মেঘ বাদলি হয় তাহলেই তো কষ্টের সীমাই থাকবে না। মো: জাকারিয়া ইসলাম নামে এক পথচারি জানান, রাস্তাটি কিছুদিন পর পরই এ অবস্থা হয়। তবে রাস্তাটির উন্নয়নের কাজ করা হলেও ভালোভাবে কাজ না করার ফলে অল্প সময়ের মধ্য রাস্তাটির মাঝে ছোটবড় গর্ত হয়ে বেহাল রুপে রুপান্তরিত হয়েছে।

শ্রাবন্তী রানী সরকার নামে এক কলেজ ছাত্রী বলেন, পুরো রাস্তার মধ্যে অধিকাংশ স্থানে ভাঙা থাকায় যাতায়াত করতে অনেক সমস্যা হয়। প্রতিদিন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়ার সময় অনেক কষ্ট হয়। আর বর্তমান সময়ে ধূলাবালি তো আছেই। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন আসা যাওয়া করে শরীর আর ঠিক থাকে না। অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়তে হয়। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন আসা যাওয়া করলে সুস্থ্য মানুষও অসুস্থ্য হয়ে যাবে। রোগি আর গর্ভবর্তী মহিলাদের দূর্ভোগ তো বলাই লাগে না। তাই এ রাস্তাটি ভালো ভাবে মেরামতের জন্য উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী। সামনে বর্ষার মৌসুম । বর্ষার মৌসুমের আগে যদি ভালো করে রাস্তাা সংস্কার না করা হয়। তাহলে যান চলাচলের অনুপযোগির হয়ে পড়ছে বলে আশংকা প্রকাশ করেন সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে মেসার্স ইসলাম ট্রের্ডাস এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেেত চাইলে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা র্নিবাহী প্রকৌশলী মো: জামাল উদ্দিন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নতুন এসেছি এখানে, তবে আমি আসার পর রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তার কাজ সন্তোষজনক হয় নাই। কাজের ক্রুটি থাকার কারণে কাজের বিল স্থগিত করা হয়েছে। টিকাদারী প্রতিষ্টানকে কাজের সংশোধনের জন্য বলা হয়েছে। সংশোধন সাপেক্ষো বিল পরিশোধ করা হবে।

এবিএন/জহিরুল আলম চৌধুরী/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত