
রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও), ২০ মার্চ, এবিনিউজ : ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল মহিলা ডিগ্রী কলেজে ক্লাশ বর্জন কর্মসূচি পালন করেছে সমস্ত শিক্ষকরা।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে নিয়োগ বাণিজ্যে অধ্যক্ষেসহ ম্যানেজিং কমিটির অনিয়ম দুনীর্তি স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে শিক্ষকরা এ কর্মসূচি পালন করে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, কলেজের সমস্ত শিক্ষকরা ক্লাশ বর্জন করে শ্রেণিকক্ষের বারান্দায় বসে থাকতে দেখা যায়। ক্লাশরুমগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই। সব শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ক্লাশ বর্জন কর্মসূচির কারণে বাড়ী ফিরে যেতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগামী এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষা এখন আমরা স্যারদের কাছে পরামর্শ নিবো অনেক সমস্যা আছে যেগুলো সমাধান করে নিবো এমন আশায় কলেজে এসে দেখি শিক্ষকদের ক্লাশ বর্জন কর্মসূচি। মাঝে মাঝেই কলেজে এমন ঘটনা ঘটছে আমরা এটা আশা করি না শিক্ষকদের কাছে।
এ দিকে কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ও সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি জায়ন উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের নিকট উপবৃত্তির নামে উৎকোচ আদায় সবার অগোচরে শিক্ষক নিয়োগ প্রতিষ্ঠানের এইচএসসি ডিগ্রী পরীক্ষার ফরম পূরণের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়,কলেজের অর্থনৈতিক হিসাবে নাটকীয়তা, অধ্যক্ষ তফিল উদ্দীনের একক আধিপত্য বিস্তার নিয়োগ বাণিজ্যে অনিয়ম দুনীতি স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে আমরা এ কর্মসূচি পালন করছি।
আরেক প্রভাষক জুলফিকার আলী ভুট্টু বলেন, কখন যে কলেজে নিয়োগ হয় আমরা জানতে পারি না। নিয়োগের পর একজন এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে বলেন আজ থেকে আমি এ প্রতিষ্ঠানের নতুন শিক্ষক। তেমনি ভাবে রসায়ন বিভাগে তবিবুর রহমান নামে একজন প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি সম্প্রতিকালে কলেজে এসে পরিচয় দেন আমি এ কলেজের রাসয়ন বিভাগের শিক্ষক। আমরা এ ধরনের রাতের আধারের নিয়োগ মানি না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্বে ক্লাশ বর্জন কর্মসুচি পালন করছি। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলতে থাকবে।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ তফিল উদ্দীন বলেন, আমি যা কিছু নিয়ম অনিয়ম করেছি সব কিছুই সভাপতির নির্দেশে করেছি। নিয়োগের বিষয়গুলো তিনি ভাল বলতে পারবেন। কলেজ গর্ভনিংবডির সভাপতি সংরক্ষিত ৩০১ আসনের সাংসদ সেলিনা জাহান লিটা বলেন, আমি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী ২৯ মার্চে ঠাকুরগাঁওয়ে আগমন নিয়ে ব্যাস্ত আছি। বিষয়গুলো নিয়ে পরবর্তীতে বসে সমাধান করা হবে।
নিয়োগকৃত রসায়ন বিভাগের শিক্ষককে কলেজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। শিক্ষকরা আর আন্দোলন করবেনা।
এবিএন/মোবারক আলী/জসিম/এমসি