![সদরপুরে গরমে আংশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডায়রিয়া](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/20/patient_abnews_131296.jpg)
সদরপুর (ফরিদপুর), ২০ মার্চ, এবিনিউজ : ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে প্রায় অর্ধশতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে বলেও জানা যায়।
বর্তমানে অন্য রোগীর চেয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে ডায়রিয়ায় অক্রান্তারা। হাসপাতালের সীট সংকট থাকায় হিমশিমে পড়ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চৈত্রের গরম শুরুতেই ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের আক্রান্ত রোগীরা সদরপুর হাসপাতালসহ পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে ভীর জমাচ্ছে। আক্তান্ত রোগীর মাঝে শিশু মধ্য-বয়সীদের সংখ্যা বেশী। হাসপাতালে কয়েকদিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে বলেও জানাযায়। ভর্তিকৃতরা ২ দিন/৩ দিন থেকে চিকিৎসা নিয়ে যাচ্ছে তারা। স্বল্প লোকবল ও হাসপাতাল পরিবেশ উন্নয়ন সংস্কার কাজ করার কারনে পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে তাদের আসন সংখ্যা দিতে হিমশিম রয়েছে সদরপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের সংস্কার কাজের জন্যে পুরো হাসপাতালে টাইলস বসানোর কাজ চলছে। একটি পুরুষ ও একটি মহিলাদের জন্যে দুটি ওয়ার্ড জন্যে রাখা হয়েছে। ৩০টি আসন রয়েছে ওই দুটি ওয়ার্ডে। সাধারণ রোগীর মধ্যে প্রায় অধিকাংশ রয়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।
ভর্তি থাকা রেহানা পারভীন জানান, আমি এখানে চিকিৎসা নিচ্ছি, হাসপাতালে তেমন ভালো পরিবেশ নেই। গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে।
মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, আমি অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতালের সংস্কার চরলে বিধায় একটু সমস্যা হলেও চিকিৎসা নিচ্ছি। ডাক্তারা আমাদের ভালোভাবে দেশাশুনা করছেন।
সদরপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. ফয়সাল হোসেন জানান, গরমের অবস্থা বেড়ে যাওয়ায় আবহাওয়া দুর্যোগের কারণে বিভিন্ন বয়সী শিশু এবং বড়রাও জ্বর, বমি, পাতলা পায়খানাসহ ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। হাসপাতালের মান উন্নয়নে সংস্কার কাজ চলছে। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রোগীদের আসন পেতে একটু সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে সেবা নিতে আসা রোগিদের জন্যে আমাদের চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের হাসপাতালে ডায়রিয়ার কোনো বিভাগ নেই।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালের কাজ পুরোপুরি ভাবে শেষ হলে একটি ডায়রিয়া ওয়ার্ড চালু করা হবে।
এবিএন/সাব্বির হাসান/জসিম/এমসি