আশাশুনি (সাতক্ষীরা), ২০ মার্চ, এবিনিউজ : বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সাতক্ষীরা -৩ ও ৪ নং আসনের সীমানা পুনঃ নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে। খবর পেয়ে আশাশুনি উপজেলার রাজনীতিবিদসহ সর্বস্তরের মানুষ আনন্দ প্রকাশ ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে বহু মিষ্টি বিতরন করা হয়। মুহুর্তের মধ্যে আশাশুনিতে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলার ৭টি উপজেলাকে ৫ ভাগে বিভক্ত করে কলারোয়া ও তালাকে ১নং আসন, সাতক্ষীরা সদরকে ২নং আসন, আশাশুনিকে ৩নং আসন, কালিগঞ্জ ও দেবহাটা নিয়ে ৪ নং আসন ও শ্যামনগরকে ৫ নং আসন হিসাবে বিভাজন করে সংসদ নির্বাচন হয়ে আসছিল। বিগত দু’টি জাতীয় নির্বাচনে সাতক্ষীরার ৫টি আসনকে ৪টি আসনে পুনঃ বিভাজন করে অন্য আসনগুলো ঠিক রাখা হলেও ৩ ও ৪ আসনে আশাশুনির ১১ ইউনিয়ন, দেবহাটার ৫টি ও কালিগঞ্জ উপজেলার (আংশিক) ৪টি ইউনিয়ন মোট ২০টি ইউনিয়ন নিয়ে (সাতক্ষীরা-৩) এবং শ্যামনগরের ১৩টি ও কালিগঞ্জের ৩টি মোট ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে (সাতক্ষীরা-৪) আসন বিভাজন করা হয়েছিল। এই বিভাজনকৃত আসনে গত দু’টি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই বিভাজনের বিরুদ্ধে আশাশুনির মানুষের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছিল এবং আইনী লড়াইয়েও কোনও কোনও রাজনীতিবিদ নেমেছিলেন। গত ১৪ মার্চ-২০১৮ তাং বাংলাদেশ গেজেটে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সাতক্ষীরার ৩ ও ৪নং আসনকে বিভাজন করেছে। এতে আশাশুনির ১১ ও দেবহাটার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে নির্বাচনী এলাকা ১০৭ সাতক্ষীরা-৩ এবং শ্যামনগেরর ১৩ ও কালিগঞ্জের ৭টি মোট ২০ ইউনিয়ন নিয়ে নির্বাচনী এলাকা ১০৮ সাতক্ষীরা-৪ নং আসন বিভাজন করা হয়েছে। গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর আশাশুনির সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আনন্দ ও স্বস্তি ফিরে এসেছে। উপজেলা সদরসহ উপজেলার সকল এলাকায় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ মিষ্টি বিতরণ করেছেন। এই বিভাজনের মাধ্যমে আসন দুটির সকল ইউনিয়নে উন্নয়নের সমন্বয় সাধিত হবে এবং ভোটাররা তাদের অধিকার আদায়ে সহজভাবে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এবিএন/জি এম মুজিবুর রহমান/জসিম/এজেএ