![অভয়নগরে বিএডিসি’র সেচ প্রকল্প স্থানান্তরের ঘোষনায় কৃষকরা আতঙ্কে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/20/abnews-24.bbbbb_131319.jpg)
অভয়নগর (যশোর), ২০ মার্চ, এবিনিউজ : অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের বারান্দি পূর্বপাড়ায় অবস্থিত বিএডিসি’র একটি সেচ প্রকল্প অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণায় ওই এলাকার কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা বোরা মৌসুমের শেষে ওই প্রকল্প স্থানান্তরের দাবি করেছেন।
জানা গেছে, ২০১১-১২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ভবদহ এলঅকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও সেচ এলাকা উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় ২ কিউসেক ভুগর্ভস্থ সেচনালা নির্মাণ করেন। বর্তমানে উক্ত প্রকল্পের আওতায় প্রায় একশত বিশ বিঘা জমিতে ইরি ধান চাষ করা হয়েছে। সেচ প্রকল্পের পাইপ লাইনের কিছু অংশ একটি কাচা সড়কের নিচে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বর্তমানে উক্ত কাচা সড়কটির উন্নয়নের কাজ চলছে। যে কারনে পাইপ লাইনের ঐ অংশটি অন্যত্র স্থানান্তরের একান্ত প্রয়োজন।
কিন্তু এ শুস্ক মৌসুমে প্রায় প্রতিদিনই ধান ক্ষেতে পানি সরবরাহ করতে হচ্ছে বিধায় এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকদের প্রাণের দাবী ধানের জমিতে পানি সরবাহ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনভাবেই পাইপ লাইনািট ¯হানান্তরের কাজ না করার জন্য । রাস্তার ঐ অংশটির কাজ কয়েকদিন পর করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। তাহলে কৃষকেরা তাদের আকাংখিত ফলন পাবে বলে আশা করেন। পূর্বে সড়কটি শুধুমাত্র ব্যক্তি মালিকানাধীন জাহিদুল ইসলাম গংদের জমির উপর দিয়ে ছিল। কিন্তু ১৯৯০’র রেকর্ড অনুযায়ী রাস্তাটির কিছু অংশ শেখ সাদী গংদের জমির উপর দিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে শেখ সাদী গংদের সাথে কথা বললে তাদের কোন অভিযোগ নেই বলে জানান।
এ বিষয়ে এলাকার কয়েকজন সাধারণ কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের বছরে শুধুমাত্র ইরি মৌসুমে একটি মাত্র ফসল ঘরে ওঠে। তাও আবার এ মুহুর্তে পাইপ লাইন স্থানান্তরের ফলে ফসলের ক্ষতি হয় তাহলে আমাদের পথে বসা থাকা আর কোন উপায় থাকবে না। তার আরও জানান, পাইপ লাইন স্থানান্তরের সময় বিএডিসি’র ইঞ্জিনিয়ারের উপস্থিতি এবং পানি সরবরাহের একমাত্র খালটি ভবদহ পর্যন্ত পুনর্খননের জোর দাবী জানান।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইমাদ উদ্দীন গাজী জানান, কৃষকের কোন ধরনের ক্ষতি না হয় এবং দীর্ঘদিনের অবহেলিত গ্রামের রাস্তাটি উন্নয়নের কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল হক মোল্যা জানান, কৃষকের ধান চাষে ক্ষতি হোক এটা কখনও মেনে নেওয়া হবে না। এ বিষয়টি নিয়ে দুই জমির মালিকসহ ¯হানীয় ব্যক্তিদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইরি ফসল কৃষকের ঘরে না ওঠা পর্যন্ত পাইপ লাইন স্থানান্তরের কাজ করা হবে না।
স্থানীয় কৃষক, বর্গাচাষী ও ঘের মালিকদের একমাত্র দাবী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে’ এই শ্লোগানকে সম্মান পূর্বক উক্ত সমস্যাগুলোর জরুরী ভিত্তিতে সমাধান করার জন্য।
এবিএন/সেলিম হোসেন/জসিম/তোহা