বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

সদরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতির অভিযোগ

সদরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতির অভিযোগ

সদরপুর (ফরিদপুর), ২১ মার্চ, এবিনিউজ : ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দীর্ঘ দিন থেকে অনিয়ম,র্দুনীতি ঘুষ বানিজ্যের ফলে প্রতারিত হচ্ছে সাধারন মানুষ। একটি মহলের সহযোগীতায় বর্তমানে সদরপুর সাব-রেজিস্টি অফিসটি পরিণত হয়েছে ঘুষের আখড়ায়।

দলিল লেখকদের কাছ থেকে সাব-রেজিস্টার মো. সিফাত উল্লার নির্দেশে অফিস সহকারী মো. চুন্নু কমিশনের নামে এ ঘুষ আদায় করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোনো লেখক ঘুষ কম দিতে চাইলে সাব-রেজিস্টার উক্ত লেখকের দলিল রেজিস্ট্রী করতে কৌশলে বিভিন্ন ক্রুটি ও সংকট সৃষ্টি করে সেই দলিল রেজিস্ট্রি না করে লেখককে ভোগান্তিতে ফেলেন। এমনকি লেখকের সনদ বাতিলের হুমকি দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে অনিয়ম প্রকাশে কোনো লেখক ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছে না।

সাব কবলা, হেবার ঘোষণাপত্র, বায়নানামা,অংশনামা, এওয়াজনামা, আমোক্তারনামাসহ সব ধরণের দলিলে মৌজার মূল্য হিসাব করে মোট মূল্যের উপর সাব-রেজিস্টারের কমিশন হিসাব করে শতকরা ১ টাকা হারে আদায় করা হয়।

সাব কবলা দলিলে শতকরা ৯ টাকা ব্যাংকে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়। সাব-রেজিস্ট্রারের ছত্র ছায়ায় দলিল লেখক সমিতি কোনো ধরনের সই, স্বাক্ষর ও সীলবিহীন একটি তালিকার মাধ্যমে শতকরা ১৫টাকা থেকে ২০টাকা পর্যন্ত গ্রাহকের কাছ থেকে দলিল লেখককে দিয়ে আদায় করাচ্ছেন।

কোনো দলিল লেখক যদি সাব-রেজিস্টার সিফাত উল্লার চাহিদার চেয়ে কম ঘুষ গ্রহণ করেন, তাহলে ওই লেখকের কম গ্রহণকৃত টাকার দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

হিসাব মতে ২০১৭ ইং সনের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত আটশত দলিল রেজিস্টি বাবদ কোটি টাকা ঘুষ হিসাবে আদায় করা হয়েছে । অফিস সহকারী চুন্নু সদরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত থেকে এ ঘুষ আদায় করে আসছেন।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে জানা,যায়,খতিয়ান জালিয়াতি করে জমির মালিকের নাম জমির ধরন ও দাগ নম্বার পরিবর্তন করে অহরহ জাল দলিল সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সামাজিক বিশৃঙ্খলা মামলা। চুন্নু ও সেলিম স্থানীয় হওয়ার কারনে তারা সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন ম্যানুয়াল ২০১৪ এর নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মসহ জাল দলিল সৃষ্টি করে অর্থ আদায় করে আসছেন। দুর্নীতি ও অনিয়ম করে আদায় করা অর্থের সিংহ ভাগ সাব-রেজিস্ট্রার সিফাত উল্লাহকে দেওয়া হয় বলে জানান তারা।

প্রতিবেদকের কাছে অফিস সহকারী চুন্নু কমিশনের নামে ঘুষ আদায়ের কথা স্বীকার করে সাব-রেজিস্ট্রারের নির্দেশ পালন করছেন বলে জানান।

এ বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার সিফাত উল্লাহর কাছে মুঠোফেনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং কোনো বক্তব্য দিতে বাধ্য নন বলে জানিয়ে ফোন কেটে দেন।

তার বক্তব্য নেওয়ার কিছুক্ষণ পর পরই স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোন করে উক্ত রিপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিককে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে জানান, পত্রিকায় লিখলে কিছুই হবে না। তার চেযে ভালো উনার সাথে (সাব-রেজিস্ট্রার) সুসষ্পর্ক বজায় রাখুন, অপনিও লাভবান হবেন।

এবিএন/সাব্বির হাসান/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত