শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহালদশা: স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত ৩ লাখ মানুষ

চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহালদশা: স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত ৩ লাখ মানুষ

চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহালদশা: স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত ৩ লাখ মানুষ

চিলমারী (কুড়িগ্রাম), ২১ মার্চ, এবিনিউজ : চিকিৎসক সংকট ও নানা অব্যবস্থাপনার কারনে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় রোগীরা। প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ভরসাস্থল এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। বর্তমানে ৩জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে এটির নিয়মরক্ষার চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। ৩জন চিকিৎসক থাকলেও প্রতিদিন তারাও উপস্থিত থাকেন না। এ নিয়ে উপর মহলে একাধিকবার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি বলে এলাকাবাসীর দাবী।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কাগজে কলমে বর্তমানে চিকিৎসক রয়েছেন ৪ জন ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ১জন। ৪ জন চিকিৎসকের মধ্যে আল আমিন মাসুদ নামের একজন চিকিৎসক ডেপুটেশনে কাজ করছেন কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কুড়িগ্রাম সদরে থাকেন এবং তিনি বেশীরভাগ সময়েই মিটিং সেমিনারে থাকায় হাসপাতালে সময় দিতে পারেন না। বাকী তিনজন ডাক্তার তাদের ইচ্ছানুযায়ী আসা-যাওয়া করেন। বর্তমানে ৩জন চিকিৎসক নিয়ে খুড়িয়ে চলছে ৫০ শয্যার এই হাসপাতালটি।

ফলে চিলমারী উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী তবকপুর,বজরা ও কাশিম বাজার ইউনিয়নসহ প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষের জনপদ চিলমারীতে স্বাস্থ্যসেবা চরমভাবে ভেঙে পড়েছে। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নই ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন। বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে রোগীরা অনেক কষ্টে হাসপাতালে আসলেও চিকিৎসকের অভাবে বিনা চিকিৎসায় ফিরে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। প্রতিদিন নানা রোগ নিয়ে দেড় থেকে দুইশ’ রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকা। এবং যারা আছেন তাদের গাফিলতির ফলে চিকিৎসা সেবা জোটেনা অনেক রোগীর ভাগ্যে। নিরুপায় রুগিদের অনেকেই বাড়তি পয়সা খরচ করে চিকিৎসা নিচ্ছেন বেসরকারি ক্লিনিক কিংবা অন্যত্র।

২০১০ সালে সরকারীভাবে হাসপাতালটিকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও তার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ কাম্য সংখ্যক জনবল অদ্যাবধি প্রদান করা হয়নি বলে জানাগেছে। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে দীর্ঘদিন ধরে ২১জন চিকিৎসকের পদ শুন্য রয়েছে। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় রোগীরা। হাসপাতালটিতে স্থাপিত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি এক্স-রে মেশিন থাকলেও তা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। অজ্ঞাত কারনে ইসিজি মেশিনটিও বাক্সবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সোমবার দুপুর ১২টায় হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায় আউটডোরে প্রায় ২শ রোগীর ভীড়।

তাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ডাঃ খাদিজাতুল কোবরা নামে এক মেডিকেল অফিসার ও প্যারামেডিকেল ইন্টার্নিরত রজিনা নামের এক শিক্ষার্থী। জরুরী বিভাগে অপেক্ষমান প্রায় অর্ধশতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন শফিকুল ইসলাম নামের এক সিনিয়র স্টাফ নার্স। সব মিলিয়ে প্রতিনিয়ত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পিছিয়ে পড়া এ উপজেলার জনসাধারন।

এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট নিরসনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান হয়েছে। এক্সরে মেশিনটি চালুর জন্য আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এবিএন/গোলাম মাহবুব/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত