![বাউফলে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই চলছে ইটভাটা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/22/bauphal-eit-vata_131572.jpg)
বাউফল (পটুয়াখালী) , ২২ মার্চ, এবিনিউজ : পটুয়াখালীর বাউফলে জ্বালানি,পরিবেশ এবং বাংলাদেশ ষ্টান্ডার্ডস ইনিষ্টিটিউশনের (বিএসটিআই) এর অনুমোদন ছাড়াই চলছে ১০ ইটভাটা। ফলে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। মানা হচ্ছে না সরকারি নিয়ম কানুন। সরকারি নির্ধারিত এক হাজার ইটের মূল্য ২৬৪০ টাকা ধরা হয়েছে, কিন্তু ক্রেতাদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে প্রতি হাজারে ৮/ ৯ হাজার টাকা। যার ফলে সরকার হারাচ্ছে বছরে লাখ,লাখ টাকার রাজস্ব। একাধিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জানান ইটের মালিকরা তাদের ইটের মূল্য বৃদ্ধি করায় সরকারি দরপত্রের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারচ্ছেন না। সরকারি নিয়ম কানুন না মেনেই ব্রিক ফিল্ডের মালিকরা ইটের দাম বাড়িয়ে দেন। দরপত্রে কাজের যে মূল্য ধরা হয় তা বাস্তবে কাজ করতে গেলে মূল্য অনেক। ইটের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক ঠিকাদার কাজ করতে নিরুৎসাহী হয়ে পরেছে। ব্রিক ফিল্ডের কাছেই ছ-মিল বসিয়ে কাঠ কেটে, সে কাঠ দিয়েই পুড়ানো হচ্ছে ইট ।
এব্যাপারে পটুয়াখালীর ভ্যাট অফিস সুত্রে জানা গেছে, মৌসুমী উৎপাদন মূল্য সংযোজন ২০০৪ এর ধারামতে ১ রাখ ৮ হাজার কিউবিক ১ সেকশন । অর্থাৎ ১০লাখ ইট প্রস্ততের জন্য মুষক নেয়া হয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা । সরকারের নির্ধারিত মূল্য, ১ হাজার ইটের দাম ২৬৪০ টাকা দর হিসাবে । ইট প্রস্তত ও বাটা নির্মান স্থাপন নিয়ন্ত্রন ধারা ২০১৩এর ৪ ধারা পরিবেশ১৯৯৫(১২) সংরক্ষন সংশোধিত ২০১২ এর ইট ভাটা আইন অমান্য করে উপজেলায় গড়ে ওঠেছে ১০ ইটভাটা ।বেশী ভাগই ইটভাটা গড়ে ওঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমিতে । ফলে কালো ধোয়ায় দুষিদ হচ্ছে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ।শৌলা প্রাথমিক বিধ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কহিনুর বেগম বলেন, তার বিদ্যালয় প্রায দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে জেলা প্রশাসকের সড়কের পাশেই হিমা,শামীম ব্রিক ফিল্ড গড়ে ওঠেছে । বাতাসে ইটভাটার বালি,মাটি ও কালো ধোয়ায় শির্ক্ষাথীদের নানা রকম রোগব্যাধির সৃষ্টি হচ্ছে । নুরাইনপুর ষ্টার ব্রিকের মালিক হাবিবুর রহমান ও বগা মুন্সি ব্রিকের মালিক সহিদ মুন্সি বলেন, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের সাথে কথা বলেই ব্রিক ফিল্ট দেয়া হয়েছে,কোন রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়নি।
এবিষয় বাংলাদেশ ষ্টান্ডার্ডস টেষ্টিং ইনিষ্টিটিউমনের (বিএসটিআই) বরিশাল বিভাগীয় কর্মকর্তা আমিনুল হক প্রতিনিধিকে বলেন, বি,এস,টি আই এর অনুমোদন ইট ভাটার জন্য বাধ্যতামূলক ।যাদের অনুমোদন নেই তাদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে । জেলা (মুষক) সহকারী কমিশনার নাজির আহম্মেদ বলেন,যদি কোন ব্রিক মালিকের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাকির প্রমান পাওয়া যায় তা হলে মুল্যসংযোজক ধারা আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে । বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আরেফিন বাদল বলেন, বাউফলে পরিবেশ অধিদপ্তরের তিনটি ইটভাটায় ছাড়পত্র রয়েছে ।বাকী ইটভাটার মালিকদের কেন সরকারি নিয়ম অমান্য করে ইটভাটা নির্মান করেছে সে জন্য তাদেরকে শর্তক নোটিশ দেয়া হয়েছে ।
এবিএন/মোঃ দেলোয়ার হোসেন/জসিম/নির্ঝর