![বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/22/boropukuria-koyla_131587.jpg)
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর), ২২ মার্চ, এবিনিউজ : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে বিক্ষোভ ও অবরোধের মুখে খনি কর্তৃপক্ষের নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ। স্থানীয় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ ও অবরোধের মুখে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে খনি কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়ল খনিতে অস্থায়ীভাবে নতুন করে শ্রমিক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হলে খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও নানা রকম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খনি কর্তৃপক্ষ ষড়যন্ত্র করে নতুন শ্রমিক নিয়োগের পায়তারা করে।
গ্রামবাসীরা শ্রমিক নিয়োগ বন্ধের দাবিতে সকাল সাড়ে ১১টায় খনির প্রধান গেট বন্ধ করে অবরোধ সৃষ্টি করে। অবরোধ ও বিক্ষোভের কারণে খনির কাজে নিয়োজিত চিনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি এক্সএমসি তাৎক্ষনিক শ্রমিক নিয়োগ বন্ধের ঘোষণা দিলে খনি এলাকার প্রস্তুতি শান্ত হয়।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের সংগঠন জীবন সম্পদ ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মোঃ মশিউর রহমান বুলবুল জানান, গ্রামবাসীদের আন্দোলনে প্রধান দাবি ছিল ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের লোকজনকে যোগ্যতার ভিত্তিতে খনিতে চাকুরী দেওয়া। কিন্তু গত বুধবার হঠাৎ খনি কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীদের পাশ কাটিয়ে খনিতে বহিরাগত শ্রমিক নিয়োগের পায়তারা করে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পামী লিঃ এর মহাব্যবস্থাপক (মাইনিং) মোঃ নুরুজ্জামান চৌধুরী এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিঃ এর চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি। খনির ভূ-গর্ভে কাজ করার জন্য দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। এরই মধ্যে খনির ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার লোকজন নিয়োগ কার্যক্রমে বাধা দিলে চীনা সিএমসি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ বন্ধ করে দেন। ব
ড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিঃ ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ বলেন এখানে কোন শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে না। খনিটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি খনির ভূ-গর্ভে কাজ করার জন্য অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ করছে। এখানে খনি কর্তৃপক্ষের কোন দায়িত্ব নেই।
ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীরা জানান, চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শ্রমিক নিয়োগ করলেও শ্রমিক পদে কাকে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে সেই তালিকা খনি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা নির্ধারণ করেছেন। আর সে জন্যেই কয়লা খনির ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের মাঝে এই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অপরদিকে তারা জানান, ইতিমধ্যে খনি কর্তৃপক্ষ খনি এলাকায় জরিপ কাজ চালাচ্ছেন। ভবিষ্যতে এই এলাকার প্রায় ১৯০০ একর জমি নতুন করে একর করলে রোহিঙ্গাদের মত আমাদের অবস্থা হবে। খনি কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার বেকার যুবকদেরকে খনিতে নিয়োগ না করলে ফুলবাড়ী কয়লা খনির মত ভয়াবহ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এবিএন/মোঃ আফজাল হোসেন/জসিম/নির্ঝর