![৭ মাসেও সংস্কার হয়নি সড়ক: দুর্ভোগে ৩৫ হাজার মানুষ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/03/23/lalmonirhat-sorok_131740.jpg)
লালমনিরহাট, ২৩ মার্চ, এবিনিউজ : লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের বারাজান গ্রামে কালীরকুড়া এলাকার চলাচলের এক মাত্র সড়কটি গত বছর বন্যায় ভেঙ্গে গেছে। বন্যার পানির চাপে ওই সড়কের ব্রীজটি অক্ষত থাকলেও সড়ক ভেঙ্গে যায়। সড়কটি গত ৭ মাসেও পুর্ণ মেরামত না হওয়ায় চলাচলে ৮ টি গ্রামের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ প্রতি নিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
জানা গেছে, ওই এলাকায় কালীরকুড়া নামক ডোবা নদীর উপর প্রায় ১৬ বছর আগে একটি স্ইুচ গেট নির্মাণ করা হয়। এ বছরের ভয়াবহ বন্যায় পানির তীব্র চাপে সুইচ গেটের পাশেই সড়কটির ৬০-৬৫ ফিট অংশ ভেঙে যায়। ফলে পাশ্ববর্তী চলবলা, মদনপুর, সোনারহাট, বান্দের কুড়া, দুহুলী, বারাজান ও সুকানদীঘি এলাকার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। বাশের সাকো তৈরী করে লোকজন চলাচল করলেও যান বাহন ও পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সব চেয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয় রোগী নিয়ে। যান-বাহন চলাচল করতে না পারায় ওই এলাকার লোকজন ঘাড়ে করে রোগী নিয়ে ভাঙ্গা সড়ক পারাপার করেন। এ ছাড়া ওই এলাকা গুলোর ছাত্র-ছাত্রীদেরও চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে ভাঙ্গা সড়ক নিয়ে।
এ দিকে বারাজান এস সি উচ্চ বিদ্যালয়, বারাজান নয়া মহা বিদ্যালয়, তেঁতুলিয়া দাখিল মাদরাসা, উত্তর বাংলা কলেজ, দুহুলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং অপর দিকে বান্দেরকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বান্দেরকুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, মদনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক ছাত্রছাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়ি দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করছে।
ওই এলাকার সফিয়ার রহমান, আনিছুর ইসলাম, মকবুল আশরাফসহ অনেকেই বলেন, আমাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটি। এই রাস্তা দিয়ে কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ বিভাগীয় শহর রংপুর ও জেলা শহর লালমনিরহাটে প্রবেশ করেন। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই এর দ্রুত সমাধান করলে গ্রামের সাধারণ মানুষ এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
ওই এলাকার ইউ-পি সদস্য হিতেন চন্দ্র রায় বলেন, ৬/৭ মাস ধরে ভাঙ্গা সড়কটি মেরামতের জন্য স্থানীয় ইউ-পি চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকৌশলী, পিআইও অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও কোন সমাধান পাচ্ছি না। তারা শুধু বলছে, বরাদ্দ এলেই মেরামত হবে। আবারও বন্যা আসছে। কবে বরাদ্দ পাবো তাও জানি না।
চলবলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করেন। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসল হাট বাজারে নিয়ে যান। তাই দ্রুত সড়কটি সংস্কার প্রয়োজন। সড়কটি সংস্কারের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলেছি। সড়ক দ্রুত সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়া হলে এ দুর্ভোগের অবসান হবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মাহাবুবজ্জামান আহম্মেদ জানান, গত বন্যায় ওই সড়কটিসহ বেশ কিছু সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় এম পি ও সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ এলাকার উন্নয়নে চেষ্টা করছেন। বরাদ্দ চেয়ে উচ্চ পর্যায়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সড়ক গুলো সংস্কার করা হবে।
এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/নির্ঝর